
কিছুদিন আগের কথা। অনুরাগীদের হৃদয়ে গায়িকা এবং তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সিকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে। অমন সুরেলা গলাটা এক্কেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বেরচ্ছিল না স্বরটাই। একের পর-এক বাতিল হচ্ছিল তাঁদের গানের শো। এমন অবস্থায়, রটনারও অন্ত ছিল না তাঁকে ঘিরে। শোনা গিয়েছিল, তিনি নাকি আর কোনওদিনও গানই গাইতে পারবেন না। রটেছিল তাঁর মৃত্যুসংবাদও। তাঁকে নিয়ে যখন উদ্বেগের বাতাবরণ চারদিকে, সে সময় গায়িকা-বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে TV9 বাংলা। অদিতি জানিয়েছিলেন, তিনি কথা বলেননি টানা চারদিন। ভয়েস এক্কেবারে চলে গিয়েছিল তাঁর। সেই সময় প্রচুর বই পড়েছিলেন গায়িকা। চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছে তাঁর শরীর। তাই চারদিনের দিন তিনি কথা বলতে পেরেছেন। ১ ডিসেম্বর স্টেজ পর্যন্ত করেছেন।
তবে এই মুহূর্তে ভীষণই যত্নে আছেন অদিতি। কিছু জিনিস মেনে চলতে হচ্ছে তাঁকে। করোনাকালের মতো ফের আলমারি থেকে বের করতে হয়েছে মাস্কের বাক্সটি। প্রতিমুহূর্তে তাঁর মুখ এখন মাস্কে ঢাকা। TV9 বাংলাকে অদিতি বলেছেন, “আমি সারাক্ষণই মাস্ক ব্যবহার করছি। ওষুধপত্র খাচ্ছি নিয়মিত। যত সম্ভব কথা কম বলছি। তবে মুখে মাস্ক পরাটাই আসল বিষয়। এটা না পরলে আবার গলা থেকে স্বর চলে যাবে আমার। ডাক্তার কঠোরভাবে হুকুম করেছেন…”
কিন্তু সারাক্ষণ মাস্ক পরার কারণ কী অদিতির? বলেছেন, “ডাস্টের (ধুলো) কারণে। গলায় যেন কোনওভাবেই ধুলো না ঢোকে এখন।” এমন সমস্যায় আগে কোনওদিনও পড়তে হয়নি অদিতিকে। তার উপর শীতকালে ঘনঘন শো করতে যেতে হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তরে। অদিতির অনুরাগী বিপুল। সব বয়সি শ্রোতা তাঁর গান শুনতে ভালবাসেন। এমনকী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও। আর ঠান্ডায় খোলা ময়দানে স্টেজ শো মানেই ধুলোবালির সম্মুখীন হওয়া। অদিতি বলেছেন, “স্টেজে উঠে গান গাইছি যখন, মাস্কটা খুলে রাখছি। কিন্তু ব্যাকস্টেজে মাস্ক পরে থাকছি সবসময়।”
গলার এই অসুস্থতার সময় খাওয়াদাওয়ায় তেমন পরিবর্তন আসেনি গায়িকা-বিধায়কের। সবই খাচ্ছেন। তবে যষ্টিমধু, কাবাবচিনি খাচ্ছেন সকালে খালি পেটে। মানুষের প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন অদিতি। আপ্লুত কণ্ঠে বলেছেন, “সবার থেকে খুবই ভালবাসা পেয়েছি। বাড়ির লোক, বন্ধু-বান্ধব, আশপাশের লোকজন বিপুল সাপোর্ট করেছেন আমাকে।”
অদিতির স্বর হারানোর সময় আরও একটি ঘটনা ঘটে তাঁর জীবনে। তাঁর স্বামী বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর দুটি বাড়িতেই হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। দেবরাজ জানিয়েছিলেন, যে-যে নথি চাওয়া হয়েছে, সবই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।