তিনি অ্যাকশন হিরো, অভিনয়ও পারেন… এ কথা এতদিন সকলেই জানতেন। তাঁর মিষ্টি হাসিতে রীতিমতো ঘুম উড়ত টিনএজ তরুণীর। কিন্তু ‘লাইগার’-এঁর ফার্স্ট লুকে বিজয় ভেঙে ফেললেন সব চেনা ছক। পোস্টারে সম্পূর্ণ নগ্ন তিনি। গায়ে নেই কোনও কাপড়। নিম্নাঙ্গ ঢাকা গোলাপে। তাঁর পেশীবহুল শরীর, অ্যাবস… আর চাহনি দেখে রীতিমতো তাজ্জব ভক্তরা। শুধুই কি ভক্তরা, কথা সরছে না করণ জোহরেরও। পোস্টার শেয়ার করে তিনিও লিখেছেন, “রোজ রোজ এমন গিফট পাওয়া যায় না”। রোজ বলতে এখানে কি গোলাপ বোঝাতে চেয়েছেন করণ নাকি বোঝাতে চেয়েছেন প্রত্যহ— তা পরিচালকই জানেন। তবে মুক্তির আগেই পোস্টারের গুণেই যে বিজয় এখন ট্রেন্ডিং– এ কথা হলফ করে বলাই যায়।
তবে ইতিমধ্যেই বিজয়ের ওই লুকের সঙ্গে তুলনা চলছে আমির খানের ‘পিকে’ ছবির। ওই ছবিতেও এক রেডিয়োর মাধ্যমেই গোপনাঙ্গ ঢেকে রেখেছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে দুই ছবির কনসেপ্টের সঙ্গে মিল নেই কোনও। মুম্বইয়ের রাস্তায় বড় হওয়া এক যুবক। লম্বা, সুঠাম, তেজী। স্বভাবে তাঁর হিংস্রতা। যেন জঙ্গলে প্রতিপালিত এক দুর্দান্ত পশু। বাঘ ও সিংহের প্রজননে যে দোআঁশলা প্রাণীর জন্ম হয়, সেই আসলে ‘লাইগার’। অর্থাৎ লায়ন আর টাইগারের এক সঙ্কর প্রজাতি। হিন্দি ও তেলেগু ছবির দুই জায়েন্ট তৈরি করছে ‘লাইগার’কে। করণ জোহরের প্রযোজনা সংস্থা ও পরিচালক পুরী জগন্নাধ নিজেই এই ছবির প্রযোজক। ছবি নিয়েই প্রথম থেকেই হাইপ তুঙ্গে, এই ছবি সেই হাইপেই যেন ‘চাট মশলা’।
ছবিতে বিজয় ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনন্যা পাণ্ডে। বিজয়ের যেমন এটাই প্রথম বলিউড প্রজেক্ট। ঠিক তেমনই চাঙ্কিকন্যা অনন্যাও এই ছবির হাত ধরেই প্রবেশ করছেন তেলেগু/দক্ষিণী ছবির জগতে। আরও বড় চমক, ‘লাইগার’-এ অভিনয় করেছেন বক্সিংয়ের কিংবদন্তি বাদশা মাইক টাইসন। এটা তাঁর প্রথম ভারতীয় ছবিতে অভিনয়। ঠিক চার বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের ২৫ অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল বিজয় দেবেরাকোন্ডার ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’, যা রাতারাতি তাঁকে স্টার করে তুলেছিল গোটা দেশে। ওই একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘লাইগার’ও। আগামী ২৫ অগস্টেই প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘ক্রসব্রিড’ লাইগার।