অনেক আগেই সাহসী নারীর তকমা পেয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। না না, প্রচারে থাকার জন্য তিনি সাহসী সাজেননি কোনওকালেই। তিনি সাহসী ছিলেন নিজের মতো করে। সেই সাহস তাঁর ছিল সহজাতভাবেই। নীনা দুর্দান্ত অভিনেত্রী, এ সত্য নতুন করে বর্ণনা করার কিছু নেই। তিনি যে অত্যন্ত সাধারণ জীবনে বিশ্বাসী, সেই পরিচয়ও পেয়েছেন মানুষ। এই নীনাই এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যার জন্য তাঁকে তৎকালীন সময়ে কটাক্ষ শুনতে হলেও, এখন বাহবাই দেওয়া হয়। বিয়ে করার সুযোগ না পেয়ে মনের মানুষকে ভালবেসে এক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন নীনা। সেই সন্তানের নাম মাসাবা। মাসাবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটার ভিভ রিচার্জস এবং নীনার সন্তান। নীনা তাঁকে বলেন ‘লাভ চাইল্ড’। সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করলেন সেই মাসাবা।
নীনার জন্ম নিয়ে একবার একটি তির্যক মন্তব্য করেছিলেন নীনা। সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, যে সিদ্ধার্থ না নিলেই তিনি ভাল করতেন তা হল, বিয়ে না করে তাঁর সন্তানের জন্ম দেওয়া। তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি ঠিক করেননি, তা জানিয়েছিলেন ২০২০ সালে। নীনা বিশ্বাস করেন, সন্তানের জন্ম হওয়া চাই বিবাহের পরেই। তার আগে কোনওভাবেই নয়।
মাসাবা এখন একজন জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজ়াইনার। কিন্তু তাঁর শৈশব একেবারেই সুখের ছিল না। বিয়ে না হওয়া মায়ের সন্তানকে যা-যা সহ্য করতে হয়, তাই-তাই সহ্য করেছিলেন মাসাবাও। নীনা বলেছিলেন, “প্রত্যেক সন্তানেরই বাবা-মা দু’জনকেই প্রয়োজন। আমি চিরকালই মাসাবার সঙ্গে সৎ ছিলাম। তাই আমাদের মা-মেয়ের সম্পর্কে কখনও সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আমি জানি ও কষ্ট পেয়েছে।”
মাসাবার জন্মের পর ভিভ বিয়ে করেছিলেন নিজের দেশের একটি মেয়েকে। তাঁর নাম মিরিয়াম। মাসাবার যখন ১৯ বছর বয়স, সেই সময় নীনা বিয়ে করেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বিবেক মেহরাকে। ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ (গতকাল) মাসাবা নিজে দ্বিতীয় বিয়েটি করেছেন অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্রকে। ২০১৫ সালে ছবি নির্দেশক মধু মন্তানাকে বিয়ে করেছিলেন মাসাবা। ২০১৮ সালে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয় এবং ২০১৯ সালে ডিভোর্স হয়। সেই সময় নীনা মাসাবাকে বলেছিলেন, “আমি মাসাবাকে সেই সময় বলেছিলাম, ‘ভেবে দেখো’। কিন্তু তারপর আমি ওর সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানিয়েছিলাম।”
সত্যদীপের সঙ্গে মাসাবার বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন তাঁর বাবা ভিভও। তাঁদের পরিবারের একটি ছবিও শেয়ার করেন মাসাবা। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “প্রথমবারের জন্য আমার গোটা পরিবার একসঙ্গে রয়েছে। এটাই আমরা।”