২০১৯ সাল থেকে একে-অপরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন আথিয়া শেট্টি এবং কেএল রাহুল। আথিয়া বলিউড অভিনেতা সুনীল শেট্টির একমাত্র কন্যা এবং কেএল রাহুল ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়। মেয়ের বিয়ে প্রসঙ্গে বহুদিন আগে সুনীল বলেছিলেন, “আথিয়া আমার কন্যা। ও কোনও না-কোনও সময় নিশ্চয়ই বিয়ে করবে। আমি চাই আমার ছেলেও বিয়ে করুক। যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই ভাল। কিন্তু এটা ওদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। কেএল রাহুল ভাল ছেলে। আমি ওদের উপরই ছেড়ে দিয়েছি দিয়েছি সিদ্ধান্ত। আমার ছেলেমেয়ে দু’জনেই দায়িত্বশীল মানুষ। আমি চাই ওরাই সিদ্ধান্ত নিক। ওদের উপর আমি কিছুই চাপিয়ে দেব না নিজে থেকে।”
তারপর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, কেএল রাহুল এবং আথিয়া শেট্টির বিয়ে হবে এ দিনে কিংবা ওই দিনে। আজই সেই দিন। আজ ২৩ জানুয়ারি। আজই সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন কেএল রাহুল এবং আথিয়া শেট্টি।
মহারাষ্ট্রের খান্ডালায় সুনীল শেট্টির বিলাশবহুল বাংলোতে বসেছে বিয়ের আসর। এই দু’জনের বিয়েতে অনেকই গোপনীয়তা রাখা হয়েছে। ১০০ জন আমন্ত্রিতদের বলা হয়েছে। কেউ ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না বিবাহ আসরে। কেউ কোনও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে পারবেন না। আমন্ত্রিতরা থাকছেন খান্ডালারই একটি পাঁচ তারা হোটেলে। কেবল সুনীল, তাঁর স্ত্রী মানা এবং আথিয়া থাকছেন বাংলোতে। গোপন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজ বেলা ২.৩০টের সময় কেএল রাহুলের বরাত আসবে খান্ডালার বাংলোতে। অগ্নিকে প্রদক্ষিণ করে তাঁদের বিয়ে হবে বিকেল ০৪.১৫ নাগাদ। তখনই সবচেয়ে ভাল সময়, জানিয়েছেন এক অতিথি।
মুম্বইয়ে না বিয়ে করে কেন খান্ডালায় বিয়ে করছেন আথিয়া? এর কারণও জানা গিয়েছে। তারকাকন্যা বেশি হইহট্টগোল চাননি বিয়েতে। নিরিবিলিতে বিয়েটা সারতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই খান্ডালায় বাবার বাংলোকেই তিনি বেছে নিয়েছেন বিয়ের আসর হিসেবে। যেহেতু দু’জনেই দক্ষিণ ভারতীয়। তাই এই বিয়ের মেনুতে অধিকাংশই থাকছে দক্ষিণী খাবার। ঐতিহ্যবাহী কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হবে অতিথিদের। একটি ছোট্ট পুজোর আয়োজন করা হয়েছে আথিয়া-রাহুলের বিয়েতে। সেই প্রসাদও দেওয়া হবে অতিথিদের।