প্রায়সই সন্তান প্রতিপালন নিয়ে নানাবিধ মত প্রকাশ করেন একদা অভিনেত্রী এবং অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইঙ্কল খান্না। আরও একটি পরিচয় – অভিনয় ছাড়ার পর টুইঙ্কল মন দিয়েছেন বই লেখার কাজে। তাঁর লেখা বেশকিছু বই বেরিয়েছে। অক্ষয় এবং টুইঙ্কলের দুই সন্তান – আরভ এবং নিতারাও অনেকটাই বড় হয়েছেন এখন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কল অকপট বলেছেন, “ভাল অভিভাবক হতে গেলে আগে থেকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। গাড়ি চালানোর জন্য যেমন লাইসেন্স নেওয়া বাঞ্ছনীয়, ঠিক তেমনই ভাল বাবা-মা হওয়ার আগে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সেই প্রশিক্ষণে পাশ করলে, তবেই সন্তানের প্রতিপালন সম্ভব নচেৎ নয়”। এমনটা কেন মনে করেন টুইঙ্কল? পড়ুন…
কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের ব্যস্ত রাস্তায় একটি অটোরিকশায় মেয়ে নিতারাকে নিয়ে উঠেছিলেন টুইঙ্কল। এক সময়ের ব্যস্ত নায়িকা টুইঙ্কল। অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া এবং দেশের প্রথম সুপারস্টার রাজেশ খান্নার জ্যেষ্ঠকন্যা নিজেও স্টার কিড। লাইমলাইটে থেকেই বেড়ে উঠেছেন। বলার বক্তব্য এটাই, গ্লিটস এবং গ্ল্যামারের জগতের এই মানুষটিকে ধরাছোঁয়ার মধ্যে পাওয়া একপ্রকার ভাগ্যই। তাই তাঁকে এবং তাঁর কন্যাকে রাস্তায় হঠাৎ দেখে পথচারীরা অবাকই হয়েছিলেন ভীষণরকম। আসলে নিতারাকে কিছু শেখাতে চেয়েছিলেন টুইঙ্কল। সন্তানকে সঠিক পথে চালনা করার জন্য তাঁদের সামনে উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী এবং বর্তমান লেখিকা।
অন্য একটি সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কল বলেছিলেন, আরভ এবং নিতারার লেখাপড়ার খরচ তিনিও বহন করেন। এও বলেছিলেন, স্বামী অক্ষয় কুমারের সঙ্গে তাঁর কোনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট নেই।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, তাঁর পুত্র আরভ কুমার বয়সে অনেক বড় এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম করতে চাইছেন, তাঁর সঙ্গে ডেটেও যেতে চাইছেন। সেই অভিনেত্রী আরভের চেয়ে ৯ বছরের বড়। তাঁর একটি তিন মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি আলিয়া ভাট। এই আরভের প্রসঙ্গে একবার একটি পত্রিকার কলমে টুইঙ্কল লিখেছিলেন, “কেবল কন্যাসন্তানদের নয়, পুত্র সন্তানদেরও সঠিকভাবে প্রতিপালন করা প্রয়োজন। তখনও তিনি বলেছিলেন গাড়ি চালানোর জন্য যেমন লাইসেন্স দরকার, তেমনই সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দরকার।”
১৯৯৫ সালে ‘বসরাত’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রাখেন টুইঙ্কল খান্না। তারপর তিনি কাজ করেছেন টানা ৬ বছর। ২০০১ সালে মুক্তি পায় তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ‘লাভ কে লিয়ে সালা কুছ ভি করেগা’। কোনওদিনই অভিনয় করতে তেমন আগ্রহী ছিলেন না টুইঙ্কল। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছিলেন স্বামী-অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ২০১৫ সালে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে টুইঙ্কলের। প্রকাশিত হয় তাঁর ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি। তারপর লেখেন ‘দ্য লেজেন্ড অফ লক্ষ্মীপ্রসাদ’ বইটি। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় সেই বইটি। পরের বছর আসছে তাঁর লেখা আরও একটি উপন্যাস ‘পাজামাজ় আর ফরগিভিং’।