ভারতীয় বিনোদন জগতে তিন দশকেরও বেশ সময় কাটিয়ে দিয়েছেন এ আর রহমান। কেবল দক্ষিণ ভারত নয়, ভারতীয় কিংবা বলিউড নয়, এ আর রহমান আন্তর্জাতিক মানের এক শিল্পী, যাঁর কদর করেন প্রথম বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ। আর কদর করেন বলেই এ আর রহমানের নামে আস্ত একটি রাস্তার নামকরণ হয়েছে কানাডার শহর মারখামে। যাঁর সঙ্গীত ছবির ক্ষেত্রে এক বাড়তি মাইলেজ। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। তবে পুনে কনসার্টে এবার এ কী কাণ্ড ঘটল? রবিবার সন্ধ্যায় সকলের মন মাতিয়ে গান ধরেন এ.আর.রহমান। তবে একটা সময়ের পর হঠাৎই মঞ্চে উঠে পড়েন এক পুলিশ অফিসার। মঞ্চে উঠে তিনি দস্তুর মতো গান থামিয়ে দিলেন গান। সেই ভিডিয়ো বর্তমানে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।
অফিসার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঠিক রাত ১০টায় শো শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সময় মতো তা শেষ না করার ফলে তিনি মঞ্চে উঠে গায়ক ও সংস্থাকে নির্দেশ দেন শো শেষ করার জন্য। যদিও পুলিশের হস্থক্ষেপে বিন্দুমাত্র গোলযোগ সৃষ্টি হয়নি। সময় মতই শো থামিয়ে দিলেন এ.আর.রহমান।
সেই ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দেশের সর্বত্রই এই নিয়ম বহাল। রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে যে কোনও অডিয়ো শো, যা প্রকাশ্যে হচ্ছে। আর এই নিয়মের উর্দ্ধে কেউ নন। তাই বন্ধ করা হল এ আর রহমানের শো। তাই তাঁকেও নির্দিষ্ট সময়ের পর থামতে হল।
রহমান বরাবরই নিজের সংস্কৃতিকে সবকিছু উপরে স্থান দিয়ে থাকেন, নিয়ম মেনে চলাকেই সমর্থন করেন। একবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনেতা এহান খানের সঙ্গে এক ফ্রেমে বন্দী হয়েছিলেন রহমান। চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে সঞ্চালক এ আর রহমানের পরিচয় তামিলে দিলেও এহানের পরিচয় দেওয়ার সময়েই হিন্দির আশ্রয় নেন। এর পরেই সেই সঞ্চালকের উদ্দেশে এ আর রহমানের বিস্ময় ভরা মন্তব্য, ‘হিন্দি’? মঞ্চ থেকেও নেমে যেতে দেখা যায় তাঁকে। যদিও খানিক পরেই নিজেকে সামলে নিয়ে রহমান জানিয়েছিলেন, তিনি মজা করছিলেন।