একটা সময় বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে চুটিয়ে ফাইট সিনে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। কেবল তিনি নন, অভিনেতা রঞ্জিল মল্লিত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়রাও ছিলেন ফাইটিং স্টার। সেই সময় ভিলেনদের চরিত্রে অভিনয় করতেন দীপঙ্কর দে, দুলাল লাহিড়ী, বিপ্লব চট্টোপাধ্য়ায়রা। হিরোদের থেকে মার খাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলেন তাঁদের কেউ-কেউ। শুটিংয়ের ফাইট সিনে চিরঞ্জিত, রঞ্জিতদের মতো হিরোদের সম্মুখীন হলে পিলে চমকে যেতে কোনও-কোনও খলনায়কের। দীপঙ্কর দে একবার বলেছিলেন অজানা কিছু কথা।
দীপঙ্করই জানিয়েছিলেন, প্রসেনজিতের ফাইট সিকোয়েন্সের সময় কেউ ভয় পেতেন না। বলেছিলেন, “বুম্বার (প্রসেনজিতের ডাকনাম) মারের হাত ভাল ছিল। ওর সঙ্গে ফাইট সিনে অভিনয় করতে গেলে ব্যথা লাগার কোনও আশঙ্কা ছিল না। ও এমনভাবে মারত, এক্কেবারেই লাগত না। কিন্তু স্ক্রিনে মনে হত কত মারল। এদিকে চিরঞ্জিত, রঞ্জিতদের দেখেই আমরা পালাতে পারলে বাঁচতাম। কী ভয়াবহ মার ছিল!”
দীপঙ্কর জানিয়েছিলেন, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর টাইমিং ঠিক ছিল না। ভয় লাগত। হঠাৎ করে মেরে দিতেন। বলেছিলেন, “জানেন, একবার দুলালকে (অভিনেতা দুলাল লাহিড়ী) মেরে গোড়ালি ভেঙে দিলেছিল চিরঞ্জিত। আর রঞ্জিতও সেরকমই ছিল। মেরে-মেরে হাঁপ ধরে যেত তাঁরও। কিন্তু মারা থামাত না কিছুতেই। আমাদের অনেক মার খেতে হয়েছে রঞ্জিতদার হাতে।”
সেই সময় বাংলায় প্রচুর বাণিজ্যিক ছবি তৈরি হত। মারামারির প্রচুর দৃশ্য থাকত। কিন্তু বাঙালি নায়ক-খলনায়করা ডামি ব্যবহার করতে না সেইভাবে। ফাইটমাস্টাররা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গে বারবার অনুশীলন করে শুট করা হত সিনগুলোর। অভিনেতারা আহতও হতেন খুব।