
দেখতে দেখতে সাতদিন পার। তিনি আর নেই। যে কিংবদন্তি অভিনেতার জন্মদিন সেলিব্রেশনের প্ল্যানে ব্যস্ত ছিল পরিবার, আজ তাঁদের হাতে প্রয়াত নায়কের অস্থি। সোমবার ২৪ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ধর্মেন্দ্র। সকলের অলক্ষ্যেই তাঁকে দাহ করা হয়। শেষ দর্শনটাও পাননি অনুরাগীরা। সেই আক্ষেপ যেন থেকেই গেল। সেদিন সকালে মুম্বইয়ের ভিলে পার্ল শ্মশান ঘাটে এক অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা হয়েছিল তাঁর মরদেহ। শ্মশানেই একে একে সেদিন তারকারা উপস্থিত হয়েছিলেন, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে। তারপর বৃহস্পতিবার স্মরণসভার আয়োজন করেছিল দেওল পরিবার। আর রবিবার দেওল পরিবারই ধর্মেন্দ্রর অস্থি নিয়ে পৌঁছে গেলেন হরিদ্বার।
সেখানেই হবে কিংবদন্তি অভিনেতার অস্থি বিসর্জন। উপস্থিত গোটা দেওল পরিবার। প্রসঙ্গত, ২৪ নভেম্বর, ভারতের বুকে নেমে এসেছিল গভীর শোক। গত একমাস ধরেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই, ১১ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তাঁর মৃত্যুর খবরও। তবে সবটাই ছিল ভুয়ো। তখনও বেঁচে ছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছিল বাড়িতে। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। এরপর সব ঠিকই চলছিল। আচমকাই পরিস্থিতি পাল্টে যায় ২৪ নভেম্বর, সকাল থেকে দেখা যায় ধর্মেন্দ্রর বাড়ির সামনে বাড়ছে নিরাপত্তা, পাশাপাশি ভিলে পার্ল শ্মশানেও নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটা দেওল পরিবার সেখানে উপস্থিত হন, সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্স। তাতেই ছিল ধর্মেন্দ্রর মরদেহ।
যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে সোমবার মুখ খোলেননি কেউ। তবে সেদিন শেষকৃত্যের পর অস্থি নিয়ে ফিরতে দেখা গিয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। সেই অস্থি এবার হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দিতে গেল পরিবার।