দেবলীনা কুমার– পেশায় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। তাঁর আরও এক পরিচয় রয়েছে। তিনি বিধায়ক, মেয়র পারিষদ এবং তৃণমূল নেতা দেবাশিস কুমারের একমাত্র মেয়ে। এই মুহূর্তে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন তিনি। এরই পাশাপাশি তিনি অধ্যাপিকাও। নাচ তাঁর বিষয়। এ দিন গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে দেবলীনা করলেন এক বিশেষ পোস্ট। শেয়ার করলেন, এমন কিছু কচিকাঁচার ছবি যারা তাঁর খুব কাছের। যারা তাঁর ছাত্র-ছাত্রী। হাতে-কলমে যাঁদের প্রতিদিন প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন তিনি। ওঁদের নাচের ভিডিয়োর ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন,”আজ আমাকে যারা এই জায়গা দিয়েছে, তাদের জন্য আমার এই পোস্ট। গুরু হওয়ার যোগ্য কিনা, ওরাই বলতে পারবে,কিন্তু মন দিয়ে শেখাই, সেটা জানি”।
তিনি যোগ করেন, “১৩ বছর ধরে নাচের প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি, ৭ বছর হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাচ শেখাচ্ছি, আমার উপর আমার গুরুর আশীর্বাদ তো অবশ্যই আছে, না হলে এই কাজ আমি চালিয়ে যেতে পারতাম না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি যে আমি হাত পা না নাড়তে পাড়লেও, আমার বাচ্চারা খুব সুন্দর নাচতে পারে। আমার গুরুদের গুরুপূর্ণিমার প্রণাম।” দেবলীনা যে ভাল নাচেন, টলিপাড়াও সে খবর রাখে। খুব ছোটবেলা থেকেই চলেছে তাঁর নৃত্যচর্চা। তবে এখন তিনি শিক্ষিকাও। রয়েছে বাড়তি দায়িত্বও। সে দায়িত্বও ভালভাবেই পালন করে চলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিধায়ক কন্যা হওয়ায় মাঝেমধ্যেই ট্রোলের মুখে পড়তে হয় দেবলীনাকে। খুব শীঘ্রই ডক্টরেট উপাধি পাবেন তিনি। সে নিয়েও হয়েছিল কটাক্ষ। বাবা দেবাশিস কুমারের কারণেই মিলেছে ডিগ্রি, শুনতে হয়েছিল তাও। তা নিয়ে দেবলীনা মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ট্রোলিং হয় আমাকে নিয়ে। বলা হয় যে আমি বিধায়ক কন্যা এবং এই মুহূর্তে উত্তরকুমারের নাত বউ বলেই আমি প্রচণ্ড প্রিভিলেজড। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এর অনেক নেগেটিভ পয়েন্টস আছে। আমাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। খালি মনে হয়, আমি যা-যা করছি, কিংবা যেভাবে নিজেকে মেলে ধরছি, সেটা হয়তো অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।”