সেই ১৯৬০ থেকে বলিউডে রাজত্ব করেছেন তিনি। একটা সময় তিনিই ছিলেন এক ও অদ্বিতীয়। কথা হচ্ছে ধর্মেন্দ্রের। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৬৪ বছর কাটিয়ে ফেলা এই মানুষটি জীবনের বহু বসন্ত পার করে এবার নিয়ে ফেললেন এক বড় সিদ্ধান্ত। বদলে ফেললেন তাঁর নিজের নাম! কী ভাবছেন, এমনটাও হয়?
ধর্মেন্দ্রের পুরো নাম ধরম সিং দেওল। তিনি যে সময় কাজ শুরু করেছিলেন সে সময় নায়কেরা নিজেদের নাম মাঝেমধ্যেই বদলে নিতেন। দর্শকের পছন্দ হবে, সোজা হবে, হবে খানিক ছোট– এমন নাম নিয়েই গ্ল্যামার জগতে প্রবেশ করতে পছন্দ করতেন তাঁরা। ধরমও তাই বলিউডে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যান ধর্মেন্দ্র। তাঁর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর। তাঁর বাবার নাম ছিল কিওয়াল কিষান দেওল। মায়ের নাম ছিল সাতবন্ত কউর। বাবা ছিলেন শিক্ষক ও মা ছিলেন গৃহবধূ। মুম্বইয়ে আসার আগে তিনি থাকতেন পঞ্জাবে। তবে গ্ল্যামার জগতে প্রবেশের পরেই রাতারাতি বদলে যায় তাঁর জীবন। ধর্মেন্দ্রের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই।
এ হেন মানুষটাই হঠাৎ করে নাম বদলে ফেলেছেন। বয়স বাড়ার কারণেই তাঁকে কি ভর করছে নস্টালজিয়া? এ দিনই মুক্তি পেয়েছে শাহিদ কাপুর ও কৃতি শ্যানন অভিনীত ছবি ‘তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’। সেখানে দেখা যাবে ধর্মেন্দ্রকেও। জানা যাচ্ছে, এই প্রথম টাইটেল কার্ডে নিজের নাম ধর্মেন্দ্র লেখেননি তিনি। লিখেছেন, ধর্মেন্দ্র সিং দেওল। কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা? সেই প্রশ্নই এখন ভক্তদের মনে মনে। সে যাই হোক, জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে তিনি পদবী ব্যবহার না করলেও তাঁর সন্তানেরা কিন্তু বিপরীত পথে হেঁটেছেন। তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সকলেই ব্যবহার করেন পদবী।