
পাকিস্তান ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে মুক্তি স্থগিত থাকা সত্ত্বেও ধুরন্ধর ভারতীয় বক্স অফিসে এবং তার বাইরেও দাপটের সঙ্গে সাফল্য ধরে রেখেছে। এদিকে পাকিস্তানে বহু দর্শক নাকি অবৈধভাবে অনলাইনে ছবিটি দেখার উপায় খুঁজে নিচ্ছেন। খবরে বলা হয়েছে, মাত্র দুই সপ্তাহে ২০ লক্ষেরও বেশি অবৈধ ডাউনলোডের মাধ্যমে শাহরুখ খানের ‘রইস’-কে ছাড়িয়ে পাকিস্তানে ধুরন্ধর সবচেয়ে বেশি পাইরেটেড চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছে।
কঠোর অনলাইন নজরদারি সত্ত্বেও টরেন্ট, টেলিগ্রাম চ্যাট, ভিপিএন নেটওয়ার্ক এবং ‘ধুরন্ধর’-এর গোপন স্ট্রিমিং লিঙ্ক ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সীমাবদ্ধতা এড়াতে সক্ষম সার্ভারের সাহায্যে পাকিস্তানের দর্শকেরা ছবিটি স্ট্রিম করতে পারছেন। যদিও ছবির কপি একেবারে নিখুঁত বা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়, তবুও ভারতজুড়ে ছবিটি কেন এত সফল হয়েছে—তা জানার আগ্রহ দর্শকদের মধ্যে প্রবল। সূত্র অনুযায়ী, এই মাত্রার পাইরেসি একদিকে যেমন ছবিটি নিয়ে জনসাধারণের কৌতূহলের প্রতিফলন, তেমনই এক ধরনের প্রতিবাদও বটে।
রণবীর সিং, অক্ষয় খান্না, সারা অর্জুন ও সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমিতে রয়েছে লিয়ারি গ্যাং সংঘর্ষ, ২৬/১১ মুম্বই হামলা এবং ১৯৯৯ সালের কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা। অনেকে সমালোচনা করেছেন লিয়ারির উপস্থাপনাকে ঘিরে। অদ্ভুতভাবে, এই বিতর্কই ছবিটির জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক পাকিস্তানি ভক্ত প্রকাশ্যে অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লিপ, রিল ও মিমে ভরিয়ে দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ ছবিটির রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।
এছাড়াও প্রযোজকেরা ইতিমধ্যেই পরবর্তী অধ্যায় ‘ধুরন্ধর ২’-এর জন্য ২০২৬ সালের ঈদে বড় পরিসরে মুক্তির সময়সূচি নির্ধারণ করেছেন। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবিটিই জাতীয় সীমানা পেরিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক উসকে দিয়েছে।