
সাল ১৯৭৫, বলিউডে মুক্তি পেয়েছিল অন্যতম কাল্ট ছবি শোলে। যেখানে অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র-র জুটি সকলের মন কেড়েছিল। তবে জানেন, সেই সময় বলিউডের সবচেয়ে দামি অভিনেতা ছিলেন ধর্মেন্দ্র। এই ছবির জন্য পারিশ্রমিক বাবদ নিয়েছিলেন ১.৫ কোটি টাকা।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডে পাল্টায় বহু সমীকরণ। একটা সময়ের পর কাজের সংখ্যাও কমিয়ে দেন ধর্মেন্দ্র। খুব বাছাই করে কাজ করা শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর পারিশ্রমিক বেড়ে দাঁড়ায় ৫ কোটি টাকা।

এখনও তাঁর জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর পরবর্তী ছবি “ইক্কিস”, যার ট্রেলার ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নেয়। ধর্মেন্দ্রর দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি অভিনয় করেছেন ৩০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে, যা খুব কম অভিনেতাই করতে পেরেছেন।

রোম্যান্স থেকে অ্যাকশন, কমেডি থেকে ট্র্যাজেডি — প্রতিটি ধারাতেই তিনি নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন। এই দীর্ঘ ও সফল কেরিয়ারের সুবাদে বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৩৩৫ কোটি টাকা। তবে তাঁর সাফল্য শুধু সিনেমার পর্দাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ধর্মেন্দ্র ব্যবসায়িক দিক থেকেও সমান দক্ষ।

হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেট — নানা খাতে বিনিয়োগ করে তিনি নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে আজও পুষ্ট করে তোলেন। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্রর রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ। পাশাপাশি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মুখও তিনি। ফলে আয় নেহাতই কম ছিল না।

ধর্মেন্দ্রর লোনাভালায় রয়েছে এক বিশাল ১০০ একর জমির ওপর ফার্মহাউস, যেখানে রয়েছে সুইমিং পুল, আকুয়া থেরাপি জোন ও সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক বাগান। সেখান থেকে মাঝে মধ্যেই ছবি ভিডিয়ো শেয়ার করতে দেখা যায় ধর্মেন্দ্রকে।

এছাড়া, মহারাষ্ট্রে তাঁর প্রায় ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি এবং কৃষিজমি ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তিতে প্রায় ১.৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। বয়স ৮৯ হলেও ধর্মেন্দ্র এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়; নিয়মিত পোস্টের মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং নিজের জীবনের নানান সুন্দর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে তারকাদের ঢল। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও পরিবারের তরফ থেকে মঙ্গলবার সকালেই জানানো হয় বেঁচে আছেন তিনি। চিকিৎসায় দিচ্ছেন সাড়াও।