ধর্মেন্দ্রর মুখাগ্নির সময় শ্মশানে দেওল পরিবার ঠিক কী করেছিল? পড়ুন, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

তখন অন্দরে কী চলছে জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। শেষ দেখা হল না, এটুকু ততক্ষণে স্পষ্ট। সে সময় শ্মশানে শেষকৃত্যে ব্যস্ত থাকা অপর এক পরিবারের সদস্য TV9 নেটওয়ার্কের সাংবাদিকের কাছে মুখ খোলেন। জানান, ভিতরের ছবিটা ঠিক কী? 

ধর্মেন্দ্রর মুখাগ্নির সময় শ্মশানে দেওল পরিবার ঠিক কী করেছিল? পড়ুন, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Nov 27, 2025 | 7:25 PM

সোমবার, বেলা গড়াতেই গোটা দেশের মুখ ভার। দেওল পরিবারের হালচাল দেখে আঁতকে উঠেছিলেন সকলে। পরিবারের সকলের পরণে তখন সাদা পোশাক, একটা অ্যাম্বুল্যান্স আর সঙ্গে বেশ কিছু গাড়ি, ভিলে পার্লে শ্মশান ঘাটে তখন ধীরে ধীরে বাড়ছে ভিড়। তবে কি…! প্রশ্ন জেগেছিল সকলের মনে। যদিও সময় কিছুটা এগোতেই যেন মনে মনে সবটা পরিষ্কার করে নিতে শুরু করে গোটা দেশ। আর সেই আশঙ্কা হয়ে যায় সত্যি। কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র সত্যিই আর নেই। সোমবার, ২৪ নভেম্বর সবটা চোখের সামনে ঘটেছে ঠিকই, তবুও পরিবারের মুখ ছিল বন্ধ। শ্মশান ঘাটে একের পর এক ঘটনা মিলিয়ে ততক্ষণ সবটা বুঝে গিয়েছে সকলে।

ভিলে পার্ল শ্মশানে তখন বলিউড তারকাদের ঢল। অভিষেক বচ্চন, সলমন খান, অমিতাভ বচ্চন, গৌরী খান, আমির খান, অক্ষয় কুমার থেকে শুরু করে শাহরুখ খান পৌঁছিয়ে গিয়েছিলেন প্রায় সকলেই। তবে সব ছবিটাই ছিল শ্মশান ঘাটের বাইরে। তখন অন্দরে কী চলছে জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। শেষ দেখা হল না, এটুকু ততক্ষণে স্পষ্ট। সে সময় শ্মশানে অপর এক মৃতদেহের শেষকৃত্যে ব্যস্ত থাকা  পরিবারের সদস্য TV9 নেটওয়ার্কের সাংবাদিকের কাছে মুখ খোলেন। জানান, ভিতরের ছবিটা ঠিক কী ছিল?

প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, সানি দেওল ও ববি দেওল ধর্মেন্দ্রর মুখাগ্নি করেছেন। টানা সময় বসে ছিলেন বাবার চিতার পাশেই। বলিউডের হি-ম্যান যখন পঞ্চভূতে বিলিন হচ্ছিলেন, গোটা পরিবার তখন ভেঙে পড়েছিল। খানিক দূরেই দুই মেয়েকে নিয়ে বসেছিলেন হেমা মালিনী। পাশাপাশি একইভাবে বসেছিলেন সলমন খান, গোবিন্দা, গৌরী খান, শাহরুখ খানেরা। থমথমে পরিবেশ। নিরাপত্তা নাকি এতটাই আঁটোসাঁটো ছিল যে আসেপাশেও প্রায় যাওয়াই সম্ভবপর ছিল না।

ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে একাধিক প্রশ্ন, এমন এক কিংবদন্তি অভিনেতার শেষযাত্রা কি এমন হওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল? অনুরাগীদের কি শেষ
শ্রদ্ধা জানানোর একটা সুযোগ পেতে পারতেন না? প্রশ্ন শত থাকলেও, এ সিদ্ধান্ত পরিবারের। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমালোচনার পারদই তুঙ্গে থাকুক না কেন, দিনের শেষ এটাই সত্যি, গোটা দেশ এই সংবাদে শোকস্তব্ধ।