
বিবেক অগ্নিহোত্রী। এখন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির জন্য চর্চায়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছবির দেখার জন্য বলেছেন সকলকে। ১৯৯০ সালের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের কাহিনি বলে এই ছবি।
কিন্তু বিবেক মানে বিতর্কও। বিভিন্ন সময়ে তাঁর মন্তব্য থেকে হোক কিংবা তাঁর কৃতকর্মের জন্য তিনি শিরোনামে থেকেছেন। এ রকমই একটি ঘটনা ২০১৮ সালে ঘটে। বাঙালি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। ‘চকলেট: ডিপ ডার্ক সিক্রেটস’ ছবির শুটিংয়ের সময় বিবেক তাঁকে পোশাক খুলে নাচতে বলেছিলেন, দাবি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর।
কী ঘটেছিল সেদিন? ২০০৫ সালে ‘চকলেট ডিপ ডার্ক সিক্রেটস’-ছবির শুটিংয়ে তনুশ্রীর সহঅভিনেতা ইরফান খানের ক্লোজ আপ শট চলছিল। তখনই বিবেক তাঁকে নাকি পোশাক খুলে নাচতে বলেন। তনুশ্রীর বলেছিলেন, ‘‘আমার শট ছিল না। আমি ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ইরফান খানের মুখের ক্লোজ আপ শট নেওয়া হচ্ছিল। আমি নিজের পোশাকের উপর একটি তোয়ালে জড়িয়ে দৃশ্যটি দেখছিলাম। হঠাৎ পরিচালক বিবেক আমাকে বলেন, ‘যাও, ইরফানের সামনে গিয়ে কাপড় খুলে নাচো। তা হলে ইরফানের সুবিধা হবে অভিনয় করতে।’ আমি হতবাক হয়ে যাই এটা শুনে”।
কিন্তু ইরফান আর ছবির আর এক অভিনেতা সুনীল শেট্টির জন্য তিনি সেদিন রক্ষা পেয়েছিলেন, সে কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি। এমনকি তিনি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেছেন। তাঁদের মতো মানুষের জন্য আজও ইন্ডাস্ট্রি চলছে বলেই তনুশ্রীর বিশ্বাস। এ বিষয়ে কী বলেন তিনি? “ইরফান বিবেকের কথা শুনে এগিয়ে এসে বলেন, আমার সাহায্যের প্রয়োজন নেই। আমি অভিনেতা। কিছু না দেখলেও প্রয়োজনীয় অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে পারব। কী সব বলছ তুমি? কাউকে কাপড় খুলে আমার সামনে নাচতে হবে না!’ সুনীল শেট্টিও সেখানে ছিলেন। তিনিও বলেন, ‘আমি সাহায্য করছি ইরফানকে। তনুশ্রীকে এ সব করতে হবে না,” বললেন তনুশ্রী।
যদিও এই ঘটনাকে বিবেক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ বলেই জানান। তাঁর মতে, তনুশ্রী যা বলেছেন, সব মিথ্যে। বিবেকের দাবি, ‘‘জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য এবং আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এ সবই মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।’’