‘আমার প্রিয় খাবার চুমু’, এ কী বললেন নচিকেতা?
নব্বই-এর দশক থেকে নচিকেতা বাংলা আধুনিক গানের জগতে উজ্জ্বল এক নাম। কিছু বছর আগে একটি বেসরকারি চ্যানেলে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দেন গায়ক। সেই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁর স্ট্রাগল থেকে প্রেম, গান থেকে জীবন সংগ্রামের একাধিক কাহিনি।

গায়ক-গীতিকার নচিকেতা চক্রবর্তী মানেই শ্রোতের বিপরীতে এক কিংবদন্তি শিল্পী। যাঁর গানের কথায় যেমন থাকে প্রতিবাদ, তেমনই থাকে রোম্যান্স। যিনি সমস্বরে বলতে পারেন, “যার মন যত বড়, ভালবাসে অবিরত….”। নব্বই-এর দশক থেকে নচিকেতা বাংলা আধুনিক গানের জগতে উজ্জ্বল এক নাম। কিছু বছর আগে একটি বেসরকারি চ্যানেলে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডা দেন গায়ক। সেই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাঁর স্ট্রাগল থেকে প্রেম, গান থেকে জীবন সংগ্রামের একাধিক কাহিনি। সেই সাক্ষাৎকারেই নচিকেতা জানিয়েছিলেন, ‘নীলাঞ্জনা’ গান কাকে ভেবে লেখা হয়েছে, তাঁকে তিনি সবার অলক্ষেই রাখতে চান। নচিকেতা গানের পাশাপাশি খুব ভাল হারমোনিয়াম বাজান, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছিল হারমোনিয়ম বাজাতে না পারলে ভাল গান গেয়ে প্রমাণ করা যাবে না, তাই হারমোনিয়ম নিয়ে বারো থেকে চোদ্দ ঘন্টা অনুশীলন করেছি।”
গায়কের জীবনের সবথেকে কষ্টকর সময় ছিল তাঁর বাবার মৃত্যুর পরের নয় বছর, তাঁর কথায় সেই নয় বছর তিনি যা করেছেন, সব কিছুতেই তিনি বিফল হয়েছিলেন। তবে তিনি মনে করেন সবকিছুই আগে থেকে নির্ধারিত আছে। তিনি বলেছিলেন, “জীবনে ওই কষ্টটা না পেলে আমার হাত থেকে কালজয়ী গানগুলি সৃষ্টি হতো না। সেই থেকেই এসেছিল ‘যখন সময় থমকে দাঁড়ায়…’।
এই সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি সবথেকে বেশি কী খেতে ভালবাসেন? শুনলে অবাক হবেন মজার ছলে তিনি কী বলেছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমি সবথেকে বেশি ভালোবাসি চুমু খেতে। চুমু খাওয়া হৃদয়ের জন্য খুব ভাল। ডাক্তাররা সেই কথা বলেছেন। তাই আমি চুমু খেতেই ভালবাসি। “
