
শর্মিলা ঠাকুর, ভারতীয় সিনেমাজগতে এক উজ্জ্বল নাম। যাঁর অভিনয়ের মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকেরা বারবার। একবার নয়, দুইবার জাতীয় পুরস্কার উঠে এসেছে যাঁর হাতে, একটা সময় তাঁরই রাত কাটত অনিদ্রায়। চোখে ছিল না ঘুম। যখন তখন পরিবারের প্রতি আক্রমণ হতে পারে, প্রকাশ্যে হুমকি পেতেন তাঁরা। কিন্তু কেন এমনটা ঘটেছিল? কারণ হল তাঁর বিয়ের সিদ্ধান্ত। ভারতীয় ক্রিকেটর মনসুর আলি খানকে বিয়ে করবেন বলে যখন তিনি মনস্থির করেন, বিপত্তি শুরু হয় ঠিক তখন থেকেই। ধর্মীয় সমস্যাই তখন যেন বড় হয়ে দাঁড়ায়। কেন একজন মুসলমানকে বিয়ে করছেন তিনি?
এই বিয়ে যেন তিনি ভেঙে দেন, এই হুমকি রাতের পর রাত পেয়েছেন তিনি। একবার এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন সেই হুমকির মাত্রা ঠিক কতটা ভয়াবহ ছিল, তিনি বলেন, তাঁদের শুনতে হতো, ‘বুলেট কথা বলে’। যদিও পিছিয়ে আসেননি শর্মিলা ঠাকুর। জিতে গিয়েছিল তাঁদের সম্পর্ক, জিতে গিয়েছিল বিশ্বাস ভরসা ভালবাসা। সেই হুমকির মধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। যেখানে প্রতিটা মুহূর্তে তাঁকে ভাবিয়ে তুলত তাঁর পরিবারের সুরক্ষা।
এখানেই শেষ হয়, টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারে আরও প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে আপনি সেই পরিবারের শান্তি বজায় রাখা, সমস্ত দায়িত্ব পালন করে সকলকে আপন করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জটা জিতে গেলেন? শর্মিলা ঠাকুর খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন এক্ষেত্রে তাঁকে খুব একটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। কারণ একটাই, সেই পরিবারে অধিকাংশ সবাই নিজের মতো করে থাকতে ভালবাসত। সকলে মিলে থাকার রীতিটা ছিল না। তাই তাঁর খুব একটা সমস্যা কোনওদিন হয়নি। শর্মিলা বলেন, ”আমি আর টাইগার দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে বিয়ে করব, আর দুই পরিবারকে শুধু জানিয়ে দিয়েছিলাম। ব্যস। দুজনেই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। তাই পিছনে কী হচ্ছে খুব একটা বুঝতে পারতাম না।”