ডালহৌসির ফুটপাত থেকে নিউটাউনের ঝকঝকে এসি রেস্তোরাঁ—নন্দিনীদির ব্যবসার নতুন রূপ। তাঁর এই নতুন রেস্তোরাঁ ফুড ভ্লগারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তবে নন্দিনীদিকে রোজ দেখা যায় না। ব্যবসার পুরো দায়িত্ব সামলান তাঁর বাবা, যিনি রেস্তোরাঁর যাবতীয় বিষয় তদারকি করেন।
নন্দিনীদির বাবার কথায়, এসি রেস্তোরাঁর মাসিক খরচ প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে এখানকার পরিবেশনের ধরনে রয়েছে এক ভিন্নতা—কাচের থালার পরিবর্তে কাগজের প্লেটে খাবার পরিবেশন করা হয়। নিউটাউনে তাঁর আরও একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখানে টিনের ছাদ। মজার বিষয়, এসি রেস্তোরাঁ এবং টিনের ছাদের রেস্তোরাঁর খাবারের মান একেবারে একই। তবে এসিতে বসে খাওয়ার জন্য প্রতিটি থালির দাম বাড়তি ৩০ টাকা।
এখানকার ভেজ থালির দাম ১০০ টাকা। একটি ভেজ থালিতে থাকে দেরাদুন রাইসের ভাত, আলুভাজা, বেগুনি, পাঁপড় ভাজা, মুগের ডাল, আলু-বেগুন-বড়ির তরকারি এবং ফুলকপি-আলুর তরকারি। অন্যদিকে, মটন থালি চাইলে খরচ করতে হবে ২৩০ টাকা। এতে থাকবে দু’পিস মটন, ভাত, ডাল-ভাজা এবং কিছু সবজি (কমপ্লিমেন্টারি)। নন-এসি রেস্তোরাঁয় একই মটন থালির দাম ২০০ টাকা। তাহলে, আপনি কি নন্দিনীদির রেস্তোরাঁয় গিয়ে এই স্বাদ চেখে দেখবেন?