স্বামী দীপঙ্কর দের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঠিক কেমন সম্পর্ক দোলন রায়ের? জানিয়েছেন TV9 বাংলা ডিজিট্যালকে
Dipankar- Dolon : ২০২০ সালে অভিনেতা দীপঙ্কর দে-কে বিয়ে করেছেন বাঙালি অভিনেত্রী দোলন রায়। দীপঙ্কর আগেও বিয়ে করেছিলেন। তিনি দুই কন্যা সন্তানের পিতা (বড় কন্যার মৃত্যু হয়েছে ২০২৩ সালে)। অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক দোলনের? টিভি নাইন বাংলা ডিজিট্যালকে সেই কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা দীপঙ্কর দে-কে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী দোলন রায়। দীপঙ্করকে দিলীপ কুমার এবং নিজেকে সায়রা বানুর সঙ্গে তুলনা করেন দোলন। বয়সে অনেকটা বড় দিলীপকে শেষদিন পর্যন্ত যেভাবে আগলে রেখেছিলেন সারয়া, ঠিক একইভাবে দীপঙ্করের দিনরাত সেবা করেন দোলন। দোলনের চেয়ে দীপঙ্কর বয়সে অনেকটাই বড়। ফারাক প্রায় ২৬ বছরের। দীপঙ্করের কনিষ্ঠ কন্যার চেয়েও নাকি দোলন এক বছরের ছোট। এ হেন দীপঙ্করের সংসার ভেঙেই কি তাঁকে বিয়ে করেছিলেন দোলন? দীপঙ্করের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক দোলনের? অভিনেত্রী টিভি নাইন বাংলা ডিজিট্যালকে জানিয়েছেন পুরো বিষয়টাই।
যুবক বয়সে এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে। পরবর্তীকালে সেই মহিলাকেই বিয়ে করেছিলেন দীপঙ্কর। সেই বিয়ে থেকেই দীপঙ্করের দুই কন্যা। ২০২৩ সালে জ্যেষ্ঠ কন্যাকে হারিয়েছিলেন দীপঙ্কর। ভয়ানক ভেঙে পড়েছিলেন কন্যার মৃত্যুতে। দোলন জানিয়েছেন, বড় কন্যা তাঁকে বাবার প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী হিসেবে কোনওদিনই গ্রহণ করতে পারেননি। তবে অভিনেতার ছোট মেয়ের সঙ্গে দোলনের সম্পর্ক ভাল। আর দীপঙ্করের প্রথম স্ত্রী? তাঁর সঙ্গে কি সদ্ভাব আছে অভিনেত্রী দোলন রায়ের? অভিনেত্রী বলেছেন, “দীপঙ্করের সঙ্গে যখন তাঁর প্রথম স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ প্রায় চূড়ান্ত, তার অনেকদিন পর আমার সঙ্গে দীপঙ্করের আলাপ। দীপঙ্কর তখন একাকী মানুষ।”
বিদেশের মাটিতে নাটক করতে গিয়ে দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে দোলনের। সপ্তাহান্তে নাটকের শো বাতিল হওয়ায় ১৫ দিন সময় পেয়েছিলেন তাঁরা। তখনই দীপঙ্করকে ভাল করে চিনেছিলেন দোলন। দোলন খোলসা করেছিলেন, “দীপঙ্করের বিয়েটা আমি ভাঙিনি। তাঁর বিয়ে ভেঙে সুখের সংসারে আগুন ধরাইনি। ফলে আপনাদের টিটো (দীপঙ্করের ডাক নাম)-দার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনও তিক্ততা নেই।”
দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর ২০২০ সালে দীপঙ্কর বিয়ে করেছিলেন দোলনকে। পরবর্তীকালে দীপঙ্করের বড় মেয়ে মারা যান। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে দীপঙ্করের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দোলন। সেখানেই অভিনেতার স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় দোলনের। দোলন বলেছিলেন, “সেদিন দুই বয়স্ক মানুষকে সামলাতে হয়েছিল আমাকেই। কন্যা-শোক পেয়েছিলেন তাঁরা। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে প্রথমেই তাঁদের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিলাম আমি, যাতে কন্যা বিয়োগের শোক সামলাতে পারেন। আমার সঙ্গে দীপঙ্করের প্রথম স্ত্রীর সেখানেই প্রথম আলাপ। তিনি কিন্তু আমাকে অপছন্দ করেন না। এর অন্যতম কারণ, সংসার ভেঙে তাঁর স্বামীকে আমি ছিনিয়ে নিইনি। দীপঙ্করের জীবনে আমি এসেছি অনেক পরে। ফলে তিনি আমাকে ঘৃণা করেন না। বরং সম্মান করেন। তিনি আমার গুরুজন। আমিও তাঁকে খুব সম্মান করি।”
বাবার বয়সি অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর দোলনের বাড়িতে ভয়ানক ঝড় উঠেছিল। রেরে করে উঠেছিলেন তাঁর বাবা-মা। দোলনের বাবা-মায়ের বক্তব্য ছিল একটাই, এত বড় একটা লোককে কীভাবে পছন্দ করেছেন তাঁর মেয়ে। পরবর্তীকালে এই দীপঙ্করের সঙ্গেই দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বাবা-মায়ের। দোলনের ভাইকে সন্তানের মতো ভালবাসেন দীপঙ্কর।