‘বাংলাটা ঠিক আসে না’র রচয়িতা ভবানীপ্রসাদ মজুমদার প্রয়াত, মাঝরাতেই চিরঘুমে ছড়াকার
Bhabani Prasad Majumder Death: ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই ভাষার মাসেই চিরঘুমে চলে গেলেন মাতৃভাষা বাংলার লড়াইয়ে ডুবে থাকা সৈনিক ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। মাত্র ৭০ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘরে তাঁর। ‘হাওড়া-ভরা হরেক ছড়া’, ‘ডাইনোছড়া’, 'কলকাতা তোর খোল খাতা', 'আ-মরি বাংলা ভাষা'এবং ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’র মতো বহু ছড়ার বইয়ের রচয়িতা ছিলেন ভবানীপ্রসাদ। লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়কে নিয়েও। সেই বইগুলির নাম ‘ছড়ায় ছড়ায় সত্যজিৎ', ‘রবীন্দ্রনাথ নইলে অনাথ’।
বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। প্রয়াত হলেন বিখ্যাত বাঙালি ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। মঙ্গলবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ছড়াকারের। তাঁর বেশির ভাগ সৃষ্টিই ছোটদের জন্য। বারবারই তাঁর লেখায় উঠে আসে স্যাটারায়। ২০ হাজারেরও বেশি কড়া লিখেছিলেন ভবানীপ্রসাদ। লিখেছিলেন বিখ্যাত কবিতা ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’।
ছড়া রচনা করতে গিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা করেছিলেন ভবানীপ্রসাদ। তাঁর ছড়ায় ছড়িয়ে থাকত কৌতুক। ‘হাওড়া-ভরা হরেক ছড়া’, ‘ডাইনোছড়া’, ‘কলকাতা তোর খোল খাতা’, ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’এবং ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’র মতো বহু ছড়ার বইয়ের রচয়িতা ছিলেন ভবানীপ্রসাদ। লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়কে নিয়েও। সেই বইগুলির নাম ‘ছড়ায় ছড়ায় সত্যজিৎ’, ‘রবীন্দ্রনাথ নইলে অনাথ’।
১৯৫৩ সালের ৯ এপ্রিল হাওড়া জেলার জগাছা থানার অন্তর্গত দাশনগরের কাছে দক্ষিণ শানপুর গ্রামে জন্ম ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের। তাঁর ছোটবেলা কাটে সেই গ্রামেই। স্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন ভবানীপ্রসাদ। ছোট ছেলেমেয়েরা ছিলেন তাঁর প্রাণ। তাদের জন্য কিছু করতে পারলে প্রাণ তৃপ্ত হত ভবানীপ্রসাদের। তাই ছড়া লিখতেন তাদের আনন্দ দিতেই। হয়েছিলেন সেই স্কুলের প্রিন্সিপালও। ‘ভবানী স্যার’ নামে গোটা তল্লাটে দারুণ সুনাম ছিল তাঁর। সাহিত্যজীবনে অনেক সম্মান পেয়েছেন ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। পেয়েছিলেন ‘সুকুমার রায় পদক’। রাষ্ট্রপতির হাত থেকেই সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি।