দেশ ছাড়ো পাক কন্যা! বিদ্বেষ বাড়তেই মুখ খুললেন দক্ষিণী অভিনেত্রী, কী বললেন?
সাধারণ থেকে সেলেব সবাই একজোট কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষরাও, গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন। সেই নিন্দাকে সঙ্গে নিয়েই পাক অভিনেতাদের বয়কট করার ডাক উঠেছে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও।

পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্টে পাকস্তানিতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রিয় সরকারকে অনুরোধ গোটা দেশের। সাধারণ থেকে সেলেব সবাই একজোট কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষরাও, গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন। সেই নিন্দাকে সঙ্গে নিয়েই পাক অভিনেতাদের বয়কট করার ডাক উঠেছে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও। আর এই বয়কটের মুখে পড়ে রীতিমতো বিপাকে দক্ষিণী অভিনেত্রী ইমান ইসমাইল। ইমানকে পাকিস্তানের মেয়ে বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। এমনকী, ভারত ছাড়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো এই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন ইমান। ইনস্টাগ্রামে লম্বা পোস্ট করে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানালেন, সোশাল মিডিয়ায় যা রটছে, তা একেবারেই ভ্রান্ত। আমার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই।
ইনস্টাগ্রামের পোস্টে অভিনেত্রী ইমান আরও লেখেন, ”প্রথমেই বলতে চাই, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তাঁর তীব্র নিন্দা করি। স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। আর এবার বলতে চাই। শুধুমাত্র ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার নামে নানারকম ভুল খবর ছড়ানো হয়েছে। এর বিরোধিতা করছি। স্পষ্ট করতে বলতে চাই, আমার এবং আমার পরিবারের সঙ্গে পাক সেনা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। আমি আমেরিকার বাসিন্দা এবং ভারতকন্যা। হিন্দি, তেলুগু, গুজরাটি এবং ইংরেজি বলতে পারি। লস অ্য়াঞ্জেলেসে জন্ম আমার। তবে আমার পরিবারের ভারতেই থাকতেন। সুতরাং যেটা রটেছে, তা একেবারেই ভ্রান্ত।”
View this post on Instagram





