
পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া নারকীয় জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া জবাব,—‘অপারেশন সিন্দুর’। পহেলগাঁওয়ের এই ঘৃণ্য পদক্ষেপের পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও একবার তলানিতে ঠেকে। হামলার পরপরই পাকিস্তানি শিল্পী—অভিনেতা, গায়ক, ও অন্যান্য বিনোদন জগতের সদস্যদের উপর ভারতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি তাঁদের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ভারত থেকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কড়া নির্দেশ জারি করেছে, যাতে সমস্ত ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পাকিস্তানের কোনও কনটেন্ট না দেখায়। এই প্রেক্ষাপটে এক পুরনো বিতর্ক আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে —কাঠগড়ায় বলিউডে পা রাখা পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। তাঁর মন্তব্য শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন– ‘এ কী স্পর্ধা’!
১০ বছর আগের সেই ভিডিয়ো ঘিরে নতুন করে বিতর্ক উস্কেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ফাওয়াদ খানের এই পুরনো ভিডিয়ো, যেটি ২০১৪ সালে বলিউড ছবি ‘খুবসুরত’-এর মিউজিক লঞ্চ অনুষ্ঠানের। ভিডিয়োতে দেখা যায়, মুম্বই মিডিয়াকে অপমান করে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন ফাওয়াদ। তিনি বলেন, “কি বোকা মানুষ, তাই না? এমনভাবে মাথা নাড়ছে!… মেঝেতে পড়ে গেলেই তো মৃগীর অবস্থা হতে পারে। আমি বলছি, তুমি (পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোনাম কাপুরের উদ্দেশে) আরও এন্টারটেইন হবে। আমি আপনাদের মেয়েটির দিকে তাকাতে বলছি না, আমি কিছু বলতে বলছি! বাহ! বোম্বে কি এমনই? আমি বলছি, মুম্বইতে কোনও জীবন নেই। মুম্বইতে কোনও প্রাণ নেই। গতকাল আমরা কোথায় গিয়েছিলাম? দিল্লি । সেখানে, আমরা একটি ছোট এনজিও শোতে উপস্থিত হয়েছিলাম। এবং সেখানে, ১০ বছরের মেয়েরা তোমাদের থেকে বেশি চিৎকার করছিল। কী লজ্জার! যাই হোক, আমার মনে হয় তোমরা সবাই বিরক্ত হচ্ছো।”
এই বক্তব্যে শুধু মুম্বই মিডিয়ার প্রতি অসম্মানই নয়, মৃগী (epilepsy)-র মতো রোগ নিয়েও কটাক্ষ করেন পাক অভিনেতা। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। অনেকে অভিনেতাকে মনে করিয়ে দেন, দীর্ঘদিন ধরেই ফাওয়াদ খানের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক নেটিজেন লেখেন, “১০ বছর আগে এই অনুষ্ঠানে আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। তখনও ওর কথাবার্তা অসম্মানজনক লেগেছিল। আজ আবার ওর ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর বুঝলাম, এটাই ওর আসল রূপ।”