দুর্ঘটনার কবলে গওহর খান, অল্পের জন্য বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন অভিনেত্রী
দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একটা বড় অংশের কটাক্ষের মুখে পড়েন গওহর। বাবাকে হারানোর কিছু দিনের মধ্যেই কী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটা অ্যাক্টিভ হয়ে পড়েন তিনি, সে বিষয়ে নেটিজেন প্রশ্ন করেন গওহরকে।
দুর্ঘটনার কবলে অভিনেত্রী গওহর খান। পায়ের মধ্যে ভারী ফোটো ফ্রেম পড়ে গিয়ে প্রায় থেঁতলে গেল প্রায়ের চার আঙুল। সেই ছবি নিজেই শেয়ার করেছেন গওহর। যদিও পায়ে না পড়ে মাথায় পড়লে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা তাঁর।
ইনস্টাগ্রামে পায়ের ছবি শেয়ার করে গওহর লেখেন, “আমি এতটাই উত্তেজনায় ভরপুর ছিলাম যে ওই ভারি ফ্রেমটা পায়ের উপর পড়ে যায়। আমার আঙুল…উফফফ।।” চিন্তায় গওহরের ভক্তরা। অভিনেত্রীকে দ্রুত সেরে ওঠার শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন তাঁরা।
দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একটা বড় অংশের কটাক্ষের মুখে পড়েন গওহর। বাবাকে হারানোর কিছু দিনের মধ্যেই কী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটা অ্যাক্টিভ হয়ে পড়েন তিনি, সে বিষয়ে নেটিজেন প্রশ্ন করেন গওহরকে। গওহরও চুপ থাকেননি। পাল্টা প্রশ্ন করেন, ““আপনারা আদপে বুঝতে পারেন যে প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা আদপে কী হতে পারে?” পাশাপাশি ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে এনে গওহরের বক্তব্য, “ইসলাম অনুযায়ী তুমি তিন দিনের বেশি শোকপ্রকাশ করতে পার না। তোমায় এগিয়ে যেতে হবে। নিজের জীবন নতুন করে শুরু করতে হবে। যে মানুষটি তোমায় ভালবাসত সেই মানুষটির ভালবাসাকে সঙ্গে করেই বাঁচতে হবে তোমাকে। ”
মার্চ মাসের ৫ তারিখ মারা যান গওহর খানের বাবা। বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে গওহর লিখেছিলেন, “আমার হিরো। তোমার মতো কেউ হতে পারবে না। আমার বাবা মারা গেলেন। তাঁর এই চলে যাওয়া তাঁর জীবনের সুন্দর দলিল হয়ে রয়ে গেল। বুঝিয়ে দিয়ে গেল কত সুন্দর মানুষ ছিলেন তিনি। আমি অনেকটা তোমারই মতো বাবা। যদিও তোমার মতো ছিটেফোঁটাও হতে পারব না কোনও দিন। তোমায় খুব ভালবাসি পাপা, খুব।”
আরও পড়ুন- জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সন্ধ্যা রায়, উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা