ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা, তারপরই বদলে যায় আসরানির জীবন!

চলে গেলেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী গোবর্ধন আসরানি। ২০ অক্টোবর, মুম্বইয়ের জুহুতে অবস্থিত আরোগ্য নিধি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ৩৫০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় সিনেমার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এত বড় যাত্রার পর, তিনি জীবনের শেষ পর্বটি চেয়েছিলেন নিঃশব্দে ও মর্যাদাপূর্ণভাবে পার করতে। তাঁর স্ত্রী মঞ্জুকে বলে গিয়েছিলেন, যেন তাঁর শেষ সময়টি থাকে জনচক্ষুর আড়ালে।

ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা, তারপরই বদলে যায় আসরানির জীবন!

| Edited By: Bhaswati Ghosh

Oct 21, 2025 | 2:54 PM

চলে গেলেন প্রখ্যাত অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী গোবর্ধন আসরানি। ২০ অক্টোবর, মুম্বইয়ের জুহুতে অবস্থিত আরোগ্য নিধি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ৩৫০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় সিনেমার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে এত বড় যাত্রার পর, তিনি জীবনের শেষ পর্বটি চেয়েছিলেন নিঃশব্দে ও মর্যাদাপূর্ণভাবে পার করতে। তাঁর স্ত্রী মঞ্জুকে বলে গিয়েছিলেন, যেন তাঁর শেষ সময়টি থাকে জনচক্ষুর আড়ালে।

অভিনেতার তারকাখ্যাতির যাত্রাপথ কিন্তু একেবারেই সহজ ছিল না। ১৯৬৪ সালে তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (FTII)-তে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই অভিনয়ের আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন। কিন্তু প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও, মুম্বইতে তাঁকে বারবার প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। এক সাক্ষাৎকারে, তিনি বলেছিলেন, “আমি সার্টিফিকেট হাতে ঘুরতাম আর ওঁরা তাড়িয়ে দিত। বলত, ‘তুমি ভাবো অভিনয়ে সার্টিফিকেট লাগে? বড় বড় তারকারা তো কোথাও শেখেননি, আর তুমি বিশেষ কেউ? চলে যাও।’” এই অস্বীকৃতির মধ্যেই এল এক অপ্রত্যাশিত মোড় — যেটি তৈরি করলেন তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। একবার তিনি FTII-তে এলেন, এবং ছাত্ররা তাঁদের হতাশা জানালেন তাঁকে।

সেই মুহূর্তের স্মৃতিচারণায় আসরানি বলেছিলেন, “একদিন ইন্দিরা গান্ধী পুণে এলেন। তখন তিনি I&B মন্ত্রী। আমরা তাঁকে বললাম, ‘ম্যাডাম, সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও কেউ আমাদের কাজ দেয় না।’ এরপর উনি মুম্বই গিয়ে প্রযোজকদের বললেন, ‘এই ছেলেমেয়েদের কাজে রাখো।’ তারপর থেকেই আমাদের কাজ আসা শুরু হয়। ‘গুড্ডি’ ছবিতে জয়া ভাদুড়ি যেমন সুযোগ পান, তেমনই আমিও সুযোগ পেয়েছিলাম। ছবিটি হিট হওয়ার পর সবাই FTII-কে গুরুত্ব দিতে শুরু করে।”

‘গুড্ডি’ (১৯৭১) ছবি থেকেই শুরু আসরানির নতুন পথচলা। আর তারপর থেকে, তিনি হয়ে ওঠেন প্রতিটি ঘরের পরিচিত মুখ — কখনও সহ-অভিনেতা, কখনও সেরা কৌতুকশিল্পী। পরবর্তী দশকগুলোতেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন, যেমন ‘হেরা ফেরি’ ও ‘ভাগম ভাগ’-এর মতো হিট সিনেমায়। তাঁর হাস্যরস ও টাইমিং কখনও পুরোনো হয়ে যায়নি।