
‘গণশত্রু’ একটি ক্রাইম অ্যান্থোলজি সিরিজ, যা বাংলার কুখ্যাত অপরাধ জগতের পাঁচটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। ৩১শে অক্টোবর থেকে দেখা যাবে এই সিরিজ। পাঁচটা গল্প বাংলার অপরাধ জগতের ইতিহাসের সেই সমস্ত চরিত্রদের ঘিরে তৈরি, যাঁরা সমাজের নিপীড়ন ও আর্থিক সংকট থেকে উঠে এসে পরিণত হয়েছিল ত্রাসে। এই সিরিজটি বাস্তব ঘটনার সঙ্গে কল্পনা মিশিয়ে সৃষ্টি করেছে এইসব ভয়ঙ্কর অপরাধীদের উত্থান, রাজত্ব এবং পতনের গল্প।
ত্রৈলোক্য দেবী হিসাবে দেখা যাবে পাওলি দামকে। হুব্বা শ্যামলের চরিত্রটি করছেন রুদ্রনীল ঘোষ। সজল বারুই রূপে দেখা যাবে আয়ুষ দাসকে। দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায় থাকছেন চেনম্যান হিসাবে। রাশিদ খানের গল্পের প্রধান মুখ সুব্রত দত্ত। ত্রৈলোক্য দেবী ভারতের প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার। এই নারী ব্রাহ্মণ বিধবা থেকে পরিণত হয় এক ভয়ানক খুনি আর তোলাবাজে। পাওলি দাম বললেন, “ত্রৈলোক্য দেবীর চরিত্রে কাজ করা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। সেই সময়ের বাস্তবতা ধরে রাখার দিকে যত্নবান হয়েছি আমরা।” এই গল্পটির পরিচালক মধুরা পালিত। হুব্বা শ্যামল রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা এক গ্যাংস্টার, যে একসময় কলকাতার আন্ডারওয়ার্ল্ডে রাজত্ব করেছেন। রুদ্রনীল ঘোষ বললেন, “এই চরিত্রটি অত্যন্ত বর্ণময় ও জটিল। চরিত্রের গা-ছমছমে কাণ্ডকারখানাকে তুলে ধরাই ছিল আমার লক্ষ্য।” হুব্বা শ্যামলের গল্পের নির্দেশক শ্রীমন্ত সেনগুপ্ত।
সজল বারুই পিতৃহত্যাকারী কিশোর, যে খুব অল্প বয়সে অপরাধজগতে প্রবেশ করে। আয়ুষের বক্তব্য, “সজল অল্প বয়সেই বুদ্ধিদীপ্ত কিন্তু ভয়ঙ্কর মানুষ ছিল। পরিচালক শমীক রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় আমি তার মনস্তত্ত্ব গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি।” শমীক এর আগে ‘বেলাইন’ উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের, যা সমালোচকদের নজর কেড়েছিল। চেনম্যান আবার এক ঠান্ডা মাথার খুনি, যে মহিলাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করত। দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায় বললেন, “এই চরিত্রটি দেখায় কীভাবে মানুষের সুপ্ত বাসনা হিংসায় পরিণত হয়।” পরিচালক অভিরূপ ঘোষ এই গল্পটি নিয়ে আসছেন দর্শকদের সামনে।
রাশিদ খান ১৯৯৩ সালের বিধ্বংসী বউবাজার বোমা বিস্ফোরণের মূলচক্রী। সুব্রত দত্ত বললেন, “রশিদ খান ছিল ‘সাট্টা কিং’—এক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের রূপকার।” সায়ন দাশগুপ্ত এই গল্পের পরিচালক। অপরাধ জগতের গল্প নিয়ে বারংবার কাজ হয়েছে বাংলায়। বড়পর্দা হোক বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এই সিরিজ কতটা নজর কাড়তে পারে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।