১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার সকাল সকাল মন খারাপের খবর। পিতৃহারা অভিনেত্রী রাইমা সেন এবং রিয়া সেন। প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেববর্মা। ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৭৮ সালে মুনমুনের সঙ্গে ভরতের বিয়ে দেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ৪৬ টা বসন্ত একসঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা। এমন মন খারাপের দিনে ফিরে দেখা যাক সেই ৪৬ বছর আগের সেই মুহূর্তটা। কী ভাবে আলাপ হয়েছিল মুনমুন ও ভরতের?
সেও খানিকটা সিনেমার চিত্রনাট্যই বটে। একদিকে মহানায়িকার একমাত্র মেয়ে মুনমুন। আর অন্য দিকে রাজপরিবারের ছেলে ভরত। টলিপাড়ার উঠতি নায়িকার তখন মুনমুন। যেমন আকর্ষণীয় চেহারা। তেমনই স্টাইল। অন্য দিকে ভরতের রূপও কম ছিল না। কী ভাবে দেখা হয়েছিল তাঁদের? প্রেমই বা হল কী ভাবে?
এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন নিজেদের প্রেমের কাহিনি। একটি বিয়ে বাড়িতেই প্রথম ভরতের সঙ্গে দেখা হয় মুনমুনের। যদিও ভরত কলকাতায় থাকতেন না। কিন্তু তিনি সে সময় শহরে এসেছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, “আমার এক ছিল বান্ধবী নাসরিন আলি। সে সময় মিস ক্যালকাটা হয়েছিল ও। নাসরিনের সঙ্গে ডেট করার জন্যই এসছিল ভরত। যেদিন আমার সঙ্গে ওদের দেখা হয়, তখন আমার খুব বাড়ি ফেরার তাড়া। নাসরিনকে বলেছিলাম কী ভাবে বাড়ি ফিরব? সাতটা বেজে গেলে মায়ের কাছে খুব বকুনি খাব। তখনই ভরত আমায় বাড়ি পৌঁছে দেয়।” তবে সে সময় অবশ্য প্রেম হয়নি তাঁদের।
মুনমুন এবং ভরতের প্রেম হয় সেই ঘটনার তারও পাঁচ বছর পরে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন স্বামীকে প্রথম ঝলক দেখেই ভাল লেগেছিল তাঁর। মুনমুন বলেন, “ভরতকে দেখে মনে হয়েছিল বাহঃ ছেলেটা ভাল তো। বেশ ম্যারেজ মেটেরিয়াল।” উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর কথা শুনে এ কথা স্পষ্ট নাসরিনের সঙ্গে ভরতের সম্পর্ক আর সে ভাবে এগোয়নি। পাঁচ বছর পর অবশেষে নায়িকার গলায়ই মালা পড়ান ভরত।