মায়ের হাতের পায়েস নাকি ডেট? জন্মদিনে জীতুর মন পড়ার পালা

জন্মদিন মানে আর একটা বছর পেরিয়ে গেল। আর একটু বৃদ্ধ হলাম। এই দিনটা আনন্দের তো বটেই। আমি পরিবারের মানুষদের সঙ্গেই থাকতে পছন্দ করি। আগাগোড়াই তাই করেছি। এবারও তাই করব। যদি কাজ থাকে, তা হলে সেভাবেই সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করি। মায়ের হাতের পায়েস নাকি প্রেমিকার সঙ্গে ডেট? মায়ের হাতের পায়েস। মায়ের হাতের রান্না খেতে খুব ভালোবাসি। সেটা সারা বছরের জন্যই। পোস্তবাটা-ভাত, ডিমসেদ্ধ আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার।

মায়ের হাতের পায়েস নাকি ডেট? জন্মদিনে জীতুর মন পড়ার পালা

|

Aug 28, 2025 | 8:50 AM

কেমন জন্মদিন সেরা মনে হয়? মায়ের হাতের পায়েস, প্রেমিকার  সঙ্গে ডেট, আর কী কী?

জীতু: জন্মদিন মানে আর একটা বছর পেরিয়ে গেল। আর একটু বৃদ্ধ হলাম। এই দিনটা আনন্দের তো বটেই। আমি পরিবারের মানুষদের সঙ্গেই থাকতে পছন্দ করি। আগাগোড়াই তাই করেছি। এবারও তাই করব। যদি কাজ থাকে, তা হলে সেভাবেই সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করি। মায়ের হাতের পায়েস নাকি প্রেমিকার সঙ্গে ডেট? মায়ের হাতের পায়েস। মায়ের হাতের রান্না খেতে খুব ভালোবাসি। সেটা সারা বছরের জন্যই। পোস্তবাটা-ভাত, ডিমসেদ্ধ আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার।

বছরটা ভারি ভালো। ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবি আর আর্য সিংহ রায় চরিত্রটিকে ঘিরে তুমুল উন্মাদনা। জন্মদিনে সেটা কতটা উপভোগ করছেন?

জীতু: শুধু এই বছর কেন, বিশ্বাস করি প্রতিটা দিনই আমার ভালো যায়। আমি পজিটিভ, অপটিমিসটিক একজন মানুষ। কোনও খারাপ ঘটনা ঘটলে সেটাকে অভিজ্ঞতা হিসাবে দেখি। খুব বেশি রাগ বা খারাপলাগা মনে পুষে রাখি না। কারও ক্ষতি করার কথা ভাবি না একেবারে। প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবি না। বাবা-মা একটা শিক্ষা দিয়েছেন। ক্ষমা করা একটা মহত্‍ গুণ। কারও যদি ভুল হয়, তাঁকে ক্ষমা করতে পারি। আমার যদি কোনও ভুল হয়, ক্ষমা চাইতে পারি। তাই প্রতিটা দিনই আমার জন্য ভালো।

প্রচুর প্রেমের প্রস্তাব আসে। সোশ্যাল মিডিয়াতে মহিলারা লিখছেন, ‘ক্রাশ’। আর্য আর জীতু মিশে যাচ্ছে। আপনি প্রেমের প্রস্তাবগুলো নিয়ে কী করছেন?

জীতু: সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর প্রেমের প্রস্তাব পাই। কেউ লিখছেন, কেউ বলছেন, তার জন্য আমি আপ্লুত। ভালোলাগছে, কখনওই বলব না খারাপ লাগছে। এটা আশীর্বাদ। অনেকেই হয়তো চেয়েও এই আশীর্বাদ পান না। আমি এমন আশীর্বাদ চাই এবং পাচ্ছি। যাঁরা এই আশীর্বাদ করছেন, তাঁদের যেন যথাযথ মূল্য দিতে পারি নিজের কাজের মাধ্যমে, এটাই আমার একমাত্র প্রয়াস। আমাকে একটা নতুন নাম দেওয়া হয়েছে (অডিয়েন্স স্টার), সেটাও সম্মান ভেবেই গ্রহণ করেছি।

অনেকে বলছেন, জীতুর মতো ছেলে চাই। পর্দার আর্যই বাঁচার ভরসা। তাঁদের কী বলবেন?

জীতু: জীতুর মতো ছেলে চাই বলছেন কি? নাকি বলছেন আর্যর মতো মানুষ চাই? জীতুর মতো ছেলে চাই বলতেই পারেন। সকলের জন্যই বলি, পর্দায় একটা চরিত্রকে দেখে ভালোলাগা তৈরি হয়। একজন মানুষের সঙ্গে থাকতে শুরু করলে কিন্তু খুঁতগুলো সামনে চলে আসে। তখন পছন্দের মানুষটার উপরই বিরক্তি আসে। তাই খুঁতগুলোকে গ্রহণ করতে পারলে তবেই একজন মানুষের সঙ্গে সারা জীবন থাকা যায়। শুধু ভালো জিনিসগুলো নেব আর খুঁতগুলো নেব না, সেভাবে একজন মানুষের সঙ্গে সারাজীবন থাকা সম্ভব নয়। শুধু ভালো নেব, আর খারাপগুলো নেব না, নিজের পার্টনারের খারাপ দিকগুলো শুধু হাইলাইট করব, সেটা কিন্তু ঠিক নয়। তাই আমার মনে হয়, যাঁরা দূর থেকে দেখছেন, আমরা রঙিন দুনিয়ায় থাকি, তাই দেখতে ভালোলাগছে। সত্যি আমার সঙ্গে থাকলে অতটা ভালোলাগবে না। আমি খুব ঘরকুনো, বই নিয়ে থাকি, সময় কম দিই মানুষকে, কথা কম বলি। বরং নিজের সঙ্গে বেশি কথা বলি। তখন খারাপ লাগতে পারে।

দিতিপ্রিয়া রায়ের সঙ্গে মতবিরোধ মিটে গিয়েছে। এখন কাজের পরিবেশ কেমন? এমন একটা ঘটনা ঘটার পর দু’ জনে এত ভালো পারফর্ম করছেন কী করে? আর্য-অপুর প্রেম দেখে দর্শক আপ্লুত…

জীতু: এই প্রশ্নটা এড়িয়ে যাচ্ছি। উত্তর দেব না।

জন্মদিনে নতুন কী পেতে চান? আর কোনটা পেলেন না ভেবে আফসোস হলো?

জীতু: আমার কোনও আফসোস নেই। আমি যা পেয়েছি, পৃথিবীর বহু সংখ্যক মানুষ তার এক শতাংশ পাননি। তাঁদের দিকে তাকিয়ে মনে করি, প্রকৃতির আমার উপর আশীর্বাদ আছে, নিজেকে ধন্য মনে করি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ঈশ্বরের কাছে। এরপর যদি আমার আফসোস থাকে, তা হলে হয়তো ঈশ্বর আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হবেন। নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই। ঈশ্বরের কাছে বিশেষ কিছু চাই-ও না। যদি আমি সত্‍ থাকি, নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি, সব কিছু এমনিই হবে বলে বিশ্বাস রাখি।