AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই রম্ভার সঙ্গে সহবাস স্বামীর; অভিনয় জগৎ থেকে হঠাৎই উধাও অভিনেত্রী

Rambha: ১৫ বছর বয়সে লেখাপড়া বরাবরের মতো ছেড়ে কেবলই বড়পর্দার অভিনয়ে মন দিয়েছিলেন রম্ভা। একে-একে হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়ালাম, ভোজপুরী, এমনকী ইংরেজি ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যায় রম্ভাকে। মোট ৮টি ভাষায় তৈরি ১০০টি ছবিকে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। চিরঞ্জীবী থেকে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সকলের নায়িকা হিসেবেই অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু একদিন হঠাৎ উধাও হয়ে যান এই অভিনেত্রী। কী ছিল সেই উধাও হওয়ার কারণ?

প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই রম্ভার সঙ্গে সহবাস স্বামীর; অভিনয় জগৎ থেকে হঠাৎই উধাও অভিনেত্রী
রম্ভা।
| Updated on: Feb 27, 2024 | 11:47 AM
Share

তাঁকে প্রাক্তন অভিনেত্রীই বলা হয়। এমনকী, গুগল সার্চ করলে পরিচয় হিসেবে উঠে আসে ‘former actress’ কথাটাই। তিনি রম্ভা। নব্বইয়ের দশকে মাত করেছিলেন বড় পর্দা। তাঁর রূপের ছটায় ঘায়েল হয়েছিল হাজার-হাজার পুরুষ হৃদয়। রম্ভার জন্ম ১৯৭৬ সালের ৫ জুন। পরিবার প্রদত্ত নাম ছিল বিজয়লক্ষ্মী ইয়েদি। সিনেমাপাড়ায় এসেই নাম পাল্টে হয় ‘স্বর্গের’ রম্বা। অপরূপা সুন্দরী এই অভিনেত্রী অন্ধ্রপ্রদেশের মেয়ে। তেলুগু পরিবারে জন্ম। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম অভিনয়ের সুযোগ আসে। তাঁকে নায়িকা হিসেবে কাস্ট করা হয় মালায়াম ছবি ‘সরগম’-এ। প্রথমে অম্রুতা নামে অভিনয় করেছিলেন। সেটাই ছিল তাঁর স্ক্রিন নেম। তারপর সেই নাম পাল্টে হয় রম্ভা। ১৫ বছর বয়সে লেখাপড়া বরাবরের মতো ছেড়ে কেবলই বড়পর্দার অভিনয়ে মন দিয়েছিলেন রম্ভা। একে-একে হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়ালাম, ভোজপুরী, এমনকী ইংরেজি ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যায় রম্ভাকে। মোট ৮টি ভাষায় তৈরি ১০০টি ছবিকে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। চিরঞ্জীবী থেকে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সকলের নায়িকা হিসেবেই অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু একদিন হঠাৎ উধাও হয়ে যান এই অভিনেত্রী। কী ছিল সেই উধাও হওয়ার কারণ?

এর কারণ ছিল রম্ভার ব্যক্তিজীবন। কানাডায় বসবাসকারী এক শ্রীলঙ্কার বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন রম্ভা। সেই ব্যক্তির নাম ইন্দ্রকুমার পাথমনাথন। ইন্দ্রকুমারকে ভালবেসে বিয়ে করে কেরিয়ারের এক্কেবারে সেরা সময়ে সব ছেড়েছুড়ে কানাডায় চলে গিয়েছিলেন রম্ভা। সেখানে গিয়েই তিনি বাস্তবটা বুঝতে পারেন। অল্প কয়েকদিন ইন্দ্রকুমারের সঙ্গে সংসার করেই রম্ভা জানতে পারেন স্বামীর জীবনের গোপন সত্য। বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। বিয়ের আগে ইন্দ্রকুমার রম্ভাকে বলেননি যে, তিনি আগে থেকে বিবাহিত। তাঁর আরও একজন স্ত্রী রয়েছেন। এই সত্যির সম্মুখীন হয়ে রম্ভা ভেঙে পড়েছিলেন। দেশ, পরিবার, এমনকী সাজানো কেরিয়ার ছেড়ে এক প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন দেখে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন রম্ভা। পালিয়ে এসেছিলেন সংসার ছেড়ে।

প্রতারক স্বামীর সংসারে আর ফিরবেন না। ধনুক ভাঙা পণ করেছিলেন রম্ভা। কিন্তু ইন্দ্রকুমার ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন রম্ভাকে। বহু তর্কাতর্কির মধ্যে রম্ভা শর্ত দিয়েছিলেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতেই হবে। নচেৎ তিনি ইন্দ্রকুমারের জীবনে ফিরবেন না। রম্ভার কথা মতোই চলেন ইন্দ্রকুমার। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে ফের রম্ভার সঙ্গে সংসার শুরু করেন তিনি। সেই সংসার আরও বড় হয় পরবর্তী সময়ে। দুই কন্যা এবং এক পুত্রর জন্ম হয় তাঁদের। বর্তমানে ৪৭ বছর বয়সি রম্ভা সিনেমায় আর ফিরে আসেননি। তাঁকে মাঝে মধ্যে দেখা যায় রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে বিচারকের আসনে।

স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে রম্ভা।