Ranaghat Ashmika: সত্যি কি অরিজিৎ অস্মিকাকে টাকা পাঠিয়েছেন? অবশেষে সত্যি এল সামনে
Arijit Singh: না, আর পাঁচটা ভ্যাক্সিন নয়, ১৬ কোটি মূল্যের একটা ইঞ্জেকশন। আর যেটা না দিতে পারলে, অস্মিকা সত্যিই আর পারবেন না উঠে বসতে, নড়াচড়া করতে কিংবা হাঁটাচলা তো দূরের কথা! তাকে সুস্থ করতে প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকার একটা ইঞ্জেকশন।

রানাঘাটের অস্মিকা। অস্মিকা যত বড় হচ্ছে, বুকের ভিতরটা ঢিপ ঢিপ করছে ওর মা-বাবার। রাতে চোখের পাতা এক করতে পারেন না দুশ্চিন্তায়। হাতে আর সময় মাস ছয়েক। সেই সময়ের মধ্যেই যে অস্মিকাকে একটা ইঞ্জেকশন দিতে হবে। না, আর পাঁচটা ভ্যাক্সিন নয়, ১৬ কোটি মূল্যের একটা ইঞ্জেকশন। আর যেটা না দিতে পারলে, অস্মিকা সত্যিই আর পারবেন না উঠে বসতে, নড়াচড়া করতে কিংবা হাঁটাচলা তো দূরের কথা! তাকে সুস্থ করতে প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকার একটা ইঞ্জেকশন। মেয়েকে সুস্থ করতে তুলতে আম জনতার দরজায় দরজায় কড়া নাড়ছে দাস পরিবার। যথাসম্ভব সকলে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি টাকার কিছু বেশি তাঁরা সাহায্য পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেলিব্রিটিরাও আর্জি জানাচ্ছে অস্মিকার জন্য। সাধ্য মতো সাহায্যও করছে।
যে তালিকায় উঠে এসেছিল অরিজিৎ সিং-এর নাম। শোনা গিয়েছে তিনিও নাকি অর্থ সাহায্য করেছেন। সত্যি কি তাই! টাকার পরিমাণ কত? এই সবটাই এবার সামনে আনলেন অস্মিকার মা-বাবা। সম্প্রতি অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী হাজির হয়েছিলেন অস্মিকার বাড়ি। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে ওঠে অরিজিৎ সিং-এর প্রসঙ্গ। অস্মিকার বাবা বলেন, ‘অনেকের একটা ভুল ধারণা হয়েছে। অনেকে ভাবছে বড় বড় শিল্পী, যেমন অরিজিৎ সিং স্যার আমাদের সাহায্য করেছে। সেটা করেনি। কিছু পেজ আছে যারা ভুলভাবে এই খবরটা রটিয়েছে যে অরিজিৎ সিং আমাদের সাহায্য করেছে। বা ওর ট্রিটমেন্টের জন্য টাকা দিয়েছে। তোমার (সায়ক) ভিডিয়োর মাধ্যমে আমি তো চাইব এই বার্তাটা ওঁনার কাছে যাক, অরিজিৎ সিং যদি আমাদের সাহায্য করেন তাহলে তো খুবই ভালো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোনও আশ্বাস বা মেসেজ আমাদের কাছে আসেনি’।
সবটা নিজের ভিডিয়োর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সায়ক। বাবা মায়ের আদুরে মেয়ে এক বিরল রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। ছোট্ট শরীরে বাসা বেঁধেছে বিশ্বের অন্যতম জটিল বিরল রোগ, স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) টাইপ ওয়ান। অস্মিকার মা লক্ষ্মী সরকার দাস বলেন, “ও তিন মাস বয়স পর্যন্ত বাকি বাচ্চাদের মতোই ঠিক ছিল। পা তুলত, হাত নাড়াত। সাড়ে তিন মাস বয়স যখন হল, তখনই হঠাৎ একদিন দেখলাম পা-টা আর তুলছে না। তিন-চার মাসের বাচ্চাদের ঘাড় শক্ত হয়ে যায় সাধারণত। উবুড় হয়ে যায়। কিন্তু ওর কিছুই হচ্ছিল না।” ছোট্ট অস্মিকাকে সুস্থ করে তুলতে একাধিক হাসপাতালে ছুটেছেন বাবা-মা। এই ইঞ্জেকশন এখানে পাওয়া যায় না। ইমপোর্ট করতে হয়। ইঞ্জেকশনের দাম ৯ কোটি। কিন্তু কর-আমদানির খরচ-সহ সব মিলিয়ে ১৬ কোটি টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।





