মাদক সেবন, রিহ্যাবে রাত কাটিয়েছেন এষা! এ কোন সত্যি এল প্রকাশ্যে?
বলিউডের কিংবদন্তি তারকা ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওল। ন’বছরের ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সিনেমা করলেও, তাঁর ঝুলিতে একটি একক হিট ছবি নেই। একের পর এক ব্যর্থ ছবি ও সমালোচনার পর, কিছু সময় বলিউড থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি।
বলিউডের কিংবদন্তি তারকা ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওল। ন’বছরের ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সিনেমা করলেও, তাঁর ঝুলিতে একটি একক হিট ছবি নেই। একের পর এক ব্যর্থ ছবি ও সমালোচনার পর, কিছু সময় বলিউড থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, শোনা যায়, বলিউডে ব্যর্থতার কারণে নাকি মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এষা। এভাবে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, তাঁকে রিহ্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েছিল।
এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন এষার মা, হেমা মালিনী, তাঁর আত্মজীবনী “বিওন্ড দ্য ড্রিম গার্ল”-এ। তিনি জানান, এষা কখনোই মাদক সেবন করেননি। তবে, পার্টি করতেন এবং মদ্যপানও করতেন। মাদক গ্রহণের খবর প্রকাশ্যে আসার পর, এষাকে নিজের মা হেমা মালিনীকে বিশ্বাস করানোর জন্য রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়েছিল। এষা নিজে এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এমন খবর ছড়ানোর পর আমি বেশ অবসাদে চলে গিয়েছিলাম। মা যাতে ভুল না বোঝেন, সেজন্য রক্ত পরীক্ষা করাতে রাজি হয়েছিলাম।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘আমি জীবনে পার্টি করেছি, মাঝে মাঝে মদ্যপান করেছি, কিন্তু কখনো এমন কিছু করিনি, যাতে আমাদের পারিবারিক সুনাম ক্ষুণ্ন হয়।’’
২০০২ সালে “কোয়ি মেরে দিল সে পুছে” ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এষা। সঞ্জয় কপূর এবং আফতাব শিবদাসানি সহ এই ছবিতে অভিনয় করলেও, ছবিটি বক্স অফিসে ফ্লপ হয়। এর পর থেকেই তার কেরিয়ারে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। মায়ের সঙ্গে তুলনা, নায়িকাসুলভ উপস্থিতি না থাকার অভিযোগও শোনা যায়।