নিয়েছেন ১০০ দুস্থ পরিবারের দায়িত্ব, জ্যাকি শ্রফ হয়ে উঠলেন শত-শত মানুষের ত্রাতা

এমনও দিন তিনি কাটিয়েছেন, যখন রাতে ঘুমোনোর সময় ইঁদুর এসে আঙুল কামড়ে দিত। তবে সেই কষ্টকে সঙ্গে নিয়েই নিজের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন জ্যাকি। একদিন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরিচালক সুভাষ ঘাই তখনই তাঁকে দেখে ‘হিরো’ ছবির জন্য কাস্ট করেন।

নিয়েছেন ১০০ দুস্থ পরিবারের দায়িত্ব, জ্যাকি শ্রফ হয়ে উঠলেন শত-শত মানুষের ত্রাতা

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Apr 21, 2025 | 6:02 PM

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ শুধুই পর্দার নয়, এখন তিনি বাস্তবেরও নায়ক বটে। তাঁকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া। তবে কী এমন কাজ করলেন তিনি? কেবল অভিনয়ের দাপটেই কি এই চর্চা? একেবারে নয়। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবনের পথচলা শুরু। সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও তিনি আজও ভুলে যাননি তাঁর শিকড়। ফলে অভাবের যন্ত্রণা কী, তা তাঁর অজানা নয়।

মুম্বইয়ের ওয়াকেশ্বর এলাকায় কেটেছে জ্যাকির শৈশব। সাতটি ছোট বিল্ডিং, মাত্র তিনটি বাথরুম। তার মধ্যেই এক ছোট ঘরে পুরো পরিবার নিয়ে থাকতেন তাঁরা। এমনও দিন তিনি কাটিয়েছেন, যখন রাতে ঘুমোনোর সময় ইঁদুর এসে আঙুল কামড়ে দিত। তবে সেই কষ্টকে সঙ্গে নিয়েই নিজের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন জ্যাকি। একদিন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরিচালক সুভাষ ঘাই তখনই তাঁকে দেখে ‘হিরো’ ছবির জন্য কাস্ট করেন। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

তবে সাফল্যের জমকালো আলো তাঁকে দারিদ্রের যন্ত্রণা ভোলাতে পারেনি । সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি আজও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। কোনও অসহায় মানুষকে দেখলেই যথা সাধ্য চেষ্টা করেন পাশে দাঁড়ানোর। জানা গিয়েছে, জ্যাকি শ্রফ প্রায় ১০০ দরিদ্র পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। মুম্বইয়ের নামী নানাবতী হাসপাতালে একটি স্থায়ী অ্যাকাউন্ট খুলে রেখেছেন তিনি। যেখানে নিয়মিত টাকা জমা দেন দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার জন্যে। এমনকি তাঁর স্ত্রী আয়েশা একবার জানিয়েছিলেন, জ্যাকি নিজের আয়ের ৫০ শতাংশই ব্যয় করেন দুঃস্থদের সাহায্যে। যখন তিনি নিজেই কর্মহীন ছিলেন, তখন স্ত্রী থেকে টাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে অসহায় মানুষদের সাহায্য করতেন।

শোনা যায়, পালি হিল অঞ্চলের প্রায় সব অসহায় মানুষের কাছেই নাকি রয়েছে ‘জ্যাকি দাদার’ ফোন নম্বর। তাঁরা জানান, “জ্যাকি দাদা আমাদের বলেছেন, রাতে যদি না খেয়ে থাকতে হয়, ফোন করো, আমি খাবার পাঠাব। দরকার হলে যে কোনও সময় ফোন করো, আমি চলে আসব।” আর এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ মানুষ।