জগমোহন সিং ধীমান– সংক্ষেপে জগজিৎ সিং– তাঁর গানের ভক্ত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে। ‘তুমি ইতনা যো মুস্কুরা রহে হো’, ‘তুমকো দেখা তো’, ‘হোশওয়ালো কো খবর ক্যায়া’– তালিকাটি অনেকটাই লম্বা। অসাধারণ গায়কীর মধ্যে দিয়ে যিনি সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন সেই তাঁর জীবনেই যে লুকিয়ে রয়েছে এমন এক কষ্টে ভরা অধ্যায়, লুকিয়ে রয়েছে কষ্ট-যন্ত্রণা, তা কি আপনি জানতেন?
সালটা ১৯৯০, জগজিৎ সিং ও চিত্রা সিংয়ের একমাত্র ছেলে বিবেক সিং এক গাড়ি দুর্ঘটনায় আচমকাই প্রয়াত হন লন্ডনে। সে সময় তাঁর বয়স মাত্র ২০ বছর। সম্প্রতি জগজিতের কাছের বন্ধু পরিচালক মহেশ ভাট এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জগজিৎ তাঁকে বলেছিলেন, লন্ডনে ছেলের দেহ পেতে তাঁকে নাকি পুলিশের জুনিয়র অফিসারদের ঘুষ দিতে হয়েছিল।” এখানেই কিন্তু জগজিতের জীবনের কষ্ট শেষ হয়ে যায় না।
তাঁর স্ত্রী চিত্রা তাঁকে বিয়ে করার আগে বিবাহিত ছিলেন দেবপ্রসাদ দত্তের সঙ্গে। ওই সম্পর্কে তাঁর এক মেয়ে ছিল যাকে নিজের সন্তানের চেয়ে কোনও অংশে কম ভালবাসতেন না জগজিৎ। ২০০৯ সালের ২৯ মে, সেই মেয়েও হঠাৎই আত্মহত্যা করেন। আরও এক বার নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হয় গায়ককে। চিত্রার কথায়, ” ও একেবারে ভেঙে পড়েছিল। সেই পাঁচ বছর বয়স থেকে ও ওকে নিজের মেয়ের মতো ভালবেসেছে। ঘটনার সময় ও বাইরে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গানের শো ছিল। তা বাতিল করে ফিরে আসে।”
ছেলে ও মেয়ে দু’জনকেই হারানোর পর নিজেও ভেঙে পড়েন জগজিৎ। মাত্র দুই বছর পর ২০১১ সালে নিজেও মারা যান তিনি। এই মুহূর্তে চিত্রা সিং তাঁর নাতি-নাতনির সঙ্গে থাকেন। এক সময় নিজেও গান গাইতেন চিত্রা। কিন্তু বিবেকের মৃত্যুর পর গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন চিত্রা।