
অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন এবং এই ভয়াবহ ঘটনাটিকে “নৃশংস হত্যাযজ্ঞ” বলে আখ্যা দিয়েছেন। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জাহ্নবী বলেন, চরমপন্থা যে কোনও রূপেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে কথা বলতে হবে।
জাহ্নবী ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি “দীপু চন্দ্র দাস” শিরোনামে একটি নোট পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “বাংলাদেশে যা ঘটছে তা বর্বরতা। এটি হত্যাযজ্ঞ এবং এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যদি আপনি তাঁর অমানবিক প্রকাশ্য লিঞ্চিং সম্পর্কে না জানেন, তবে পড়ুন, ভিডিওগুলো দেখুন, প্রশ্ন করুন। আর এসব দেখার পরও যদি আপনার ভেতরে কোনও ক্ষোভ না জাগে, তবে ঠিক এই ধরনের ভণ্ডামিই আমাদের বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংস করে দেবে।”
‘হোমবাউন্ড’ অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, “আমরা পৃথিবীর অর্ধেক দূরের ঘটনাগুলো নিয়ে কাঁদতে থাকব, অথচ আমাদের নিজেদের ভাই-বোনদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। মানবতা ভুলে যাওয়ার আগে চরমপন্থার যে কোনও এবং সব রূপের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে এবং তার নিন্দা করতে হবে।” এই পোস্টটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক ব্যবহারকারী আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত এই ইস্যুতে মুখ খোলার জন্য অভিনেত্রীর প্রশংসা করেন এবং সাহসের সঙ্গে মত প্রকাশ করার জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানান।
একজন লেখেন, “দীপু চন্দ্র দাসের নির্মম লিঞ্চিং এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলেছেন, যখন বলিউডের বাকি অংশ মুসলিম বাজারের টাকা হারানোর ভয়ে বা বয়কটের আশঙ্কায়নীরব। এতে প্রমাণ হয়, আমাদের একেবারে পাশের বাড়িতেই ইসলামী চরমপন্থার নিন্দা করার মতো সত্যিকারের সাহস তাঁর আছে—কোনও বাছাই করা ভণ্ডামি ছাড়াই।” অন্য একজন শেয়ার করেন, “অভিনেত্রী হিসেবে জাহ্নবীকে খুব একটা পছন্দ না হলেও একটি বিষয়ে একমত হতে হয়—সে চারপাশে কী ঘটছে তা ভালোভাবেই জানে এবং তা নিয়ে কথা বলার সাহস রাখে। শুধু এই ঘটনাই নয়, আরও অনেক বিষয়েই সে খুব সংবেদনশীলভাবে কথা বলেছে। অন্য নেপো অভিনেত্রীদের তুলনায় সে সত্যিই ভালোভাবে কথা বলতে পারে। জানি না এটাকে পিআর বলবেন নাকি অন্য কিছু, তবে সাক্ষাৎকারে সে যেভাবে কথা বলে তা আমার ভালো লাগে। মনে হয়, অভিনয় ছাড়া সে আর কিছু করলে ভালো হতো, ঠিক যেমনটা তার মা চেয়েছিলেন।”