অধিকাংশ স্টারের পিছনেই এমন কিছু না কিছু গল্প থেকে যায়, যা তাঁর জীবনের মোড় পাল্টে দেয়। সাধারণ মধ্যবিত্ত জীবন, কিংবা ভিড়ের মধ্যে ক্রমশ হারিয়ে যাওয়া নয়, মৃত্যুর মুখ থেকেও যে ভাগ্য কাউকে ফিরিয়ে আনতে পারে, তার প্রমাণই হয়ে থাকেন এই সকল স্টারেরা। যার মধ্যে এক উজ্জ্বল নাম হল কৈলাশ খের। যাঁর কণ্ঠের যাদুতে মুগ্ধ সকলেই। কিন্তু সেই মানুষটাই যে একটা সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে চেয়েছিলেন, তা কে জানত। নিজের কঠিন সময় নিয়ে, নিজেই মুখ খুলেছিলেন গায়ক।
সম্প্রতি এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৈলাশ খের বলেছিলেন, “আমি অনেক কাজ করেছি। আমার বয়স যখন ২০-২১, তখন আমি দিল্লিতে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। তারপরও অনেক চেষ্টা করি। দুর্ভাগ্যবশত একে একে সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর আমি হঠাৎই স্থির করি পণ্ডিত হয়ে যাব। ঋষিকেশের পথে পা বাড়াই। সেখানে গিয়ে আমার মনে হয় আমি বড্ড বেশি বেমানান সব কিছুর সঙ্গে। কারও মানসিকতার সঙ্গে আমার চিন্তাভাবনার মিল থাকত না। সব কিছু থেকেই যেন আমি বাতিল। একদিন আমি স্থির করি আমি আত্মহত্যা করব। দিলাম গঙ্গায় ঝাঁপ।”
কীভাবে ফেরা হল তবে ঘরে? গায়ক বলেন, “তখনই ঘাটের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি জলে ঝাঁপ দিয়ে আমায় বাঁচান। তিনি সহজ সরলভাবে আমায় প্রশ্ন করেন সাঁতার কাটতে পারেন না? আমি উত্তর করি- ‘মরতে’। এটা জানান পরই তিনি সজোরে আমার মাথায় মারেন।”
এরপর গায়ক জানান, এই ঘটনার ঠিক পরের দিনই তিনি নিজেকে সারা দিন ঘরে বন্ধ করে রেখেছিলেন। কোনও খাবার ছিল না তাঁর সঙ্গে। কোনও যোগাযোগ ছাড়াই তিনি একটা গোটা দিন ঈশ্বরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করে চলেছিলেন। এরপর তিনি মুম্বই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপরই ভাগ্যবদল ঘটে গায়কের।