রাত সাড়ে ১২টায় কী করছেন শ্রীময়ী? সবটা ক্যামেরাবন্দি করলেন কাঞ্চন

সেই ভিডিয়ো শেয়ার হতেই দেখা গেল শ্রীময়ী বললেন, 'আজকে হচ্ছে ফ্রায়েড রাইস। এটা এখনও বানানো চলছে।' পাশ থেকে কাঞ্চন বললেন, 'এটা কোনও একটা পকোড়া বানানোর জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছে। এটা ভাজা হবে।'

রাত সাড়ে ১২টায় কী করছেন শ্রীময়ী? সবটা ক্যামেরাবন্দি করলেন কাঞ্চন

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

May 20, 2025 | 6:01 PM

কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজ, গত দুই বছর ধরে নেটপাড়ায় অন্যতম চর্চিত জুটি। এখন এক সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার করছেন তাঁরা। পাশাপাশি অভিনয় নিয়েও ব্যস্ত থাকছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয় থাকা শ্রীময়ী নিত্য নতুন পোস্ট শেয়ার করে থাকেন। কটাক্ষকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি জমিয়ে সংসার করছেন। তাঁদের জুটি এখন অনেকেরই পছন্দের। সমাজের ছক ভাঙা বিয়ে দেখে এখন স্পষ্ট মন্তব্য রাখতে পিছপা হন না তাঁরা। ফলে তাঁদের অন্দরমহলের কাহিনি থেকে সম্পর্কের সমীকরণ সাধারণের কাছে সবটাই খোলা বইয়ের মতো। এবার তেমনই এক ছবি সামনে আনলেন শ্রীময়ী। রাত সাড়ে ১২টায় কী ঘটছে তাঁর বাড়িতে? সবটা ক্যামেরা বন্দি করলেন কাঞ্চন।

সেই ভিডিয়ো শেয়ার হতেই দেখা গেল শ্রীময়ী বললেন, ‘আজকে হচ্ছে ফ্রায়েড রাইস। এটা এখনও বানানো চলছে।’ পাশ থেকে কাঞ্চন বললেন, ‘এটা কোনও একটা পকোড়া বানানোর জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছে। এটা ভাজা হবে।’

মধ্যরাতে রীতিমত দক্ষযজ্ঞ। শুটিং থেকে ফিরে বাড়ি সকলের জন্যে জমিয়ে রান্না করলেন শ্রীময়ী চট্টোরাজ। বললেন, ‘ঘাম ঝড়ছে ঘাম। অনেকে বলেন যে রান্না করলে তাঁদের স্ট্রেস কমে। তবে আমি সেই সবের জন্য রান্না করি না। এমনি, আমার রেঁধে বেড়ে সকলকে খাওয়াতে ভালো লাগে বলে আমি রান্না করি। আসলে আমার স্ট্রেস হলে আমি কাঞ্চনের সঙ্গে ঝগড়া করি। স্ট্রেস কমানোর আমার এই একটাই উপায় রয়েছে।’

কাঞ্চন বলে ওঠেন ‘কিন্তু আমি তোমার ট্রেনি হিসেবে যে টুকু বুঝেছি, অনেক ধৈর্য্য লাগে।’ যদিও শ্রীময়ীর কথায়, ‘আমাকে দেখে খুব বিদ্ধস্ত লাগছে তো? আসলে এখন সাড়ে ১২টা বাজে। আজ সকালে শ্যুটিং ছিল। শ্যুটিং সেরে বাড়ি ফিরে এই সব রান্না করি।’ বাড়িতে তাঁর দুই মাসি উপস্থিত। সঙ্গে রয়েছে শ্রীময়ীর মাও। এরপর পরে মজা করে শ্রীময়ী কাঞ্চনকে দেখিয়ে বলেন, ‘আর এই যে সকলের মেসো’। শুনে রীতিমত ঠাট্টার ছলেই প্রতিবাদ জানান কাঞ্চন। তাঁদের সকলের জন্যে রান্না করলেন শ্রীময়ী। পদে ছিল ফ্রায়েড রাইস, ভেজ পকোরা কারি ও মটন বুনা।