Bengali Theatre: কলহ-অভিমান-বিশ্বাসঘাতকতা, দাম্পত্যের রোলারকোস্টার রাইড উপভোগ করতে চান? দেখতে হবে ‘দীপক মল্লার’
Bengali Theatre: জীবন তো আর চিরকাল সরল রেখায় চলে না। চেনা ছক এক ঝটকায় পালটে দেওয়াটাই চিরন্তন সত্য। ভজহরি-দীপিকার জীবনেও ওঠে সেই রকম একটা ঝড়। গল্পের মধ্যে হঠাৎ করেই এসে হাজির হয় আরও নায়ক-নায়িকা। তারপর...?

দাম্পত্যের একটা নিজস্ব ছন্দ আছে, লয় আছে। মসৃন যাত্রাপথ দাম্পত্যে বেমানান। অভ্যাস কখনও কখনও একঘেয়েমি তৈরি করে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ভজহরি আর দীপিকার সঙ্গে! আবার প্রেমের ক্ষেত্রে একটা প্রচলিত কথা আছে, ‘অপোসিট অ্যাট্রাক্টস’। অর্থাৎ যে মানুষটার আপনার চরিত্রের একদম বিপরীত মেরুতে অবস্থিত, যার হয়তো প্রত্যেকটা পদক্ষেপে আপনার পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি জ্বলে যায়, কখন যে সেই মানুষটাই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি হয়ে উঠবে তা বলা মুশকিল। হয়তো তাঁকে দেখলেই আপনি রেগে যান, কিন্তু সেই যখন একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার রাগ ভাঙানোর জন্য বাড়ির সব কাজ সেরে ব্রেকফাস্টটা সাজিয়ে এনে বিছানায় আপনার সামনে ধরবে, বা রাস্তায় যেতে যেতে হুট করে ভালো লেগে যাওয়া একটা জামা, যেটা হয়তো আপনি দামের জন্য কেনেননি বা কাউকে বলেননিও সেটা সামনে এনে হাজির করবে তখন সব ‘কপট’ রাগ গলে জল হয়ে যায়। এত কিছু যদি নাও হয় নিদেন পক্ষে অফিস ফেরতা কোনও দিন একটা সামান্য ৩০ টাকার গোলাপ এনে হাতে গুঁজে দেয় তখন মনে হয় ওই গোলাপটাই যেন হাতে পাওয়া চাঁদের সমান। মনে হয় ভাল-মন্দ যাই হোক, আমার শুধু ‘তোমাকেই চাই’! আসলে বাংলায় একটা শব্দ আছে ‘অভিমান’। যার কোনও প্রতিশব্দ আজও বার করতে পারেননি বড় বড় পণ্ডিতেরাও। এই অভিমান যে কোনও সম্পর্কেই নুনের মতো। যেটা বেশি বা কম হয়ে গেলেই মুশকিল।
যদিও ভজহরি আর দীপিকার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এতটা সহজ নয়। একজন ছাপোষা মধ্যবিত্ত, নিয়ম নিষ্ঠা, লৌকিকতা নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসে। অন্যজন, পরিযায়ী পাখির মতো, সমাজের বাঁধা ধরা নিয়ম তাঁর কাছে শিকলের মতো। তার উপর আবার বোরিং বর। ভজহরি-দীপিকার দাম্পত্য যেন সরলরেখা, যারা অনন্তকাল ধরে পাশাপাশি চলে ঠিকই, কিন্তু একে অপরের মধ্যে মিশে যেতে পারে না। তবু জীবন তো আর চিরকাল সরল রেখায় চলে না। চেনা ছক এক ঝটকায় পালটে দেওয়াটাই চিরন্তন সত্য। ভজহরি-দীপিকার জীবনেও ওঠে সেই রকম একটা ঝড়। গল্পের মধ্যে হঠাৎ করেই এসে হাজির হয় আরও নায়ক-নায়িকা। তারপর…? সেটা জানতে হলে দেখতে হবে থিয়েলাইটের নবতম প্রযোজনা দীপক মল্লার।
শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় ভজহরি আর দীপিকার জীবন নৌকো? তার উত্তর রয়েছে নাট্য মঞ্চে। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের কলমে থিয়েলাইটের নবতম এই প্রযোজনা ‘দীপক মল্লার’ পরিচালনা করেছেন অতনু সরকার। অভিনয় করেছেন শম্পা দাস সরকার, অতনু সরকার, সুপর্ণা চক্রবর্তী, সুকুমার দাস, শঙ্কু কুমার দাস, সোমনাথ বোস, অঙ্কুশ পাল, শ্যামসন মাথুর চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই চারটি অভিনয় হয়ে গিয়েছে নতুন এই নাটকের। দর্শকদের কাছেও বহুল প্রশংসিত, সব শো প্রায় হাউস ফুল বললেও ভুল বলা হবে না। পরবর্তী শো কবে তা জানতে হলে চোখ রাখুন থিয়েলাইটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।





