
বলিউড অভিনেত্রী কুণিকা সাদানন্দ, যিনি বহু ছবিতে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন, একবার এক পডকাস্টে তাঁর এবং কিংবদন্তি গায়ক কুমার শানু-র গোপন সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনেন। কুমার শানুর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাতই কম ছিল না। বহু মহিলাই মন দিয়েছিলেন তাঁকে। তবে কুণিকা সাদানন্দ এমন কোন তথ্য সামনে আনেন যা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল? তিনি জানান, শানুর সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের গোপন প্রেম ছিল, যা অনেকেই জানতেন না।
৬০ বছর বয়সী কুণিকা জানান, যখন তিনি বলিউডে নিজের জায়গা করতে ব্যস্ত, তখন শানু ছিলেন কেরিয়ারের শীর্ষে। উটিতে ছুটির সময় প্রথম দেখা হয় তাঁদের। সেখানেই কাছাকাছি আসেন দু’জনে। সে সময় শানুর বিবাহিত জীবন চরম সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, “একবার আমরা একসঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলাম, তখন ও খুব কেঁদেছিল। ও বলেছিল, ও জানালা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চায়। আমরা ওকে সেদিন ধরে রেখেছিলাম।”
এরপর শানু তাঁর স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য-র থেকে আলাদা হয়ে যান এবং কুণিকার বাড়ির কাছে থাকতে শুরু করেন। এরপর তাঁদের মধ্যে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কুণিকা বলেন, “আমি ওকে স্বামীর মতোই মনে করতাম।” কিন্তু এই সম্পর্ক টিকল না।
কুণিকার দাবি, রীতা তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মেজাজ হারান। এমনকি একবার হকি স্টিক দিয়ে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন বলেও শোনা যায়। কখনও আবার কুণিকার বাড়ির সামনে এসে চিৎকার করতেন। তবে কুণিকার মতে, “আমি রীতাকে বুঝতে পারি। ও সন্তানদের জন্যই টাকা চাইত, ওর দাবি ভুল ছিল না।” ১৯৯৪ সালে কুমার শানু ও রীতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি বিয়ে করেন সলোনি ভট্টাচার্য-কে। বর্তমানে তাঁদের তিন সন্তান—জিকো, জ্যাসি ও জান।