RG Kar Case: ‘তিলোত্তমা’র ফোনে বেজে উঠছে তাঁর গান, আবেগে বুক ফাটছে লগ্নজিতার
Lagnajita Chakraborty: তিলোত্তমার এই ভয়ানক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ। আজও তাঁর ফোন খোলা। ফোন করলেউই বেজে উঠছে কলার টিউনে-- ‘আমাদের স্বপ্নগুলো অল্প সময় ঘর পাতালো…’। গানের গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী এই খবর চোখে পড়তেই যেন আবারও ভেঙে পড়লেন। লিখলেন এক দীর্ঘ পোস্ট।
‘বিচার চাই’, আজ ‘তিলোত্তমা’র হয়ে সরব গোটা দেশ। আরজি কর কাণ্ডে পথে নামছেন সকলেই। প্রতিবাদে সামিল প্রতিটা নারী। রাত দখলের দাবিতে ১৪ অগাস্ট পথে নামছে গোটা দেশ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমায়েত, ‘মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’ তিলোত্তমার এই ভয়ানক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ। আজও তাঁর ফোন খোলা। ফোন করলেউই বেজে উঠছে কলার টিউনে– ‘আমাদের স্বপ্নগুলো অল্প সময় ঘর পাতালো…’। গানের গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী এই খবর চোখে পড়তেই যেন আবারও ভেঙে পড়লেন। লিখলেন এক দীর্ঘ পোস্ট।
নিজের বাবার প্রসঙ্গে টেনে এক দীর্ঘ পোস্ট করলেন লগ্নজিতা। লিখলেন, ‘সব মেয়েদের কাছেই তাদের বাবারা হিরো, আমি এই ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম নই; কিন্তু আজ আমার বাবা আবার নতুন করে আমার হিরো হয়ে উঠলেন। আজ আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমার বাবা আমায় এই খবরের স্ক্রিনশট টি পাঠান, এবং আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন বাবা সেখানে কী লিখেছেন। আমি গর্বিত যে আমার বাবা চান যে আমি প্রতিবাদ করি, পথে নামি।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লিখলেন, ‘গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার একটি ইংরাজি ভাষায় বক্তৃতা দেওয়ার ছিল, সেইখানে আমায় জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আমার মতামত “touching lives” নিজের গানের মধ্যে দিয়ে- বিষয়ে। তাতে আমি উত্তর দিয়েছিলাম, আমার গানবাজনা নিয়ে আমি এত তৎপর করে কখনও ভাবিনি। আমি মনে করি আমার কাজটা আর পাঁচজনের মতোই। যিনি ব্যাংককর্মী, যিনি শিক্ষক, যিনি কারখানায় কর্মরত, আমার কাজ তার থেকে আলাদা নয়। কিন্তু আজ সকালে এই খবরটা পড়ে মনে হলো, সত্যিই হয়তো গানের মধ্যে দিয়ে “touching life” মাঝেমধ্যে সম্ভব হয়। আমি কখনো ভাবিনি আমার এই গানটি মেয়েটির জীবনের সঙ্গে এত নিবিড় ভাবে জড়িয়ে থাকতে পারে। এখন যখন জানতে পেরেছি, তখন যেন কেমন একটা আলাদা রকম যন্ত্রণা হচ্ছে বুকের মধ্যে। আগে যে কষ্ট হচ্ছিল সেটা হয় তো সর্বজনীন, কিন্তু আজ সকাল থেকে সেই কষ্টের ধরনটা একটু বদলে গেল।’
গান প্রসঙ্গে তিনি লিখলেন, ”প্রেমের গানে বিপ্লবের কোনো সরাসরি দ্যোতনা থাকে কী না আমি জানি না, কিন্তু এই যে প্রেমিকের স্বপ্ন গুলো, ছিঁড়েখুঁড়ে রেখে দিল সমাজ যন্ত্র, তার বুক থেকে এই গান কিন্তু কখনও মুছে দিতে পারবে না আর কেউ। প্রেম ছাড়া দিন বদলায় না, বদলাতে পারে না… ক্ষমতার অট্টহাসিকে হার মানিয়ে প্রেম দিয়েই বিপ্লবের বীজ বপন করতে পারি আমরা। আজ আমার কাছে দেশের লড়াই, আর মনের লড়াই মিলেমিশে এক হয়ে গেল। মনের মধ্যেকার দেশটা জুড়ে গানটা ফিরে ফিরে আসছে। আর শুনতে পাচ্ছি আমার বাবার কণ্ঠ, “রাই মা, তোমার গানের লাইন। প্রতিবাদ করো, পথে নামো।”