পাকিস্তানের অভিনেত্রী তাঁর বলিউডের কেরিয়ার শুরু করেন এসআরকের হাত ধরে। ‘রইস’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন মাহিরা খান এবং শাহরুখ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পাকিস্তানি শিল্পীদের অভিনয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন যে ওয়েব সিরিজটি তাঁকে অফার করা হয়েছিল তা ভারতীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে স্ট্রিমিং করা হত কিন্তু মাহিরা ‘ভয় পেয়ে’ সেই অফার ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন ‘ফেসবুক খুলতে খুলতেই মৃত্যু সংবাদ…’, ভিতরে ভিতরে ভেঙে যাচ্ছেন শ্রীলেখা মিত্র
মাহিরা বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এটা দুঃখজনক। আমি যখন এটির সম্পর্কে চিন্তা করি … মানে, আমাদের সবাইকে এগতে হয়। এটাই আমরা করে থাকি, যদি আমাদের এটা না থাকে তাহলে আমরা অন্য কিছু করি। এমনটাই ঘটে। তবে আমি মনে করি পুরো উপমহাদেশের একত্রিত হওয়ার এবং সহযোগী হওয়ার এক দুর্দান্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। আমি মনে করি এটা হয়তো আবার ঘটতে পারে। কে জানে?”
আসন্ন জি ফাইভ সিরিজের একটি ছোট গল্পের বিবরণ দেওয়ার সময় মাহিরা আরও বলেন, “অন্যান্য অনেকগুলো সিরিজের অফার আমাকে দেওয়া হয়েছিল সেই সময়… আমি জানি না যে আমি যখন এই কথা বলব তখন কেউ বুঝতে পারবে কি না, আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম। এটা নয় যে লোকেরা কী বলবে, আমি ঠিক ছিলাম, তবে আমি জানতাম না আমি ওখানে যাব কি না। এবং এমন কিছু বিষয়বস্তু (ওয়েব সিরিজ) ছিল যা আশ্চর্যজনক ছিল এবং আমি এটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি,” তিনি আরও বলেন, “তবে আমি ভয় পেয়েছি এবং এটি স্বীকার করতে আমার কোনও লজ্জা নেই। এখন আমি ভাবি ‘না, ভাই, আপনি এমন কিছু ঘটতে দিতে পারেন না যা রাজনৈতিক এবং সেটা আপনার পছন্দকে প্রভাবিত করতে পারে।’ সুতরাং আমি আর মনে করি না যে আমি আর এটা করব এবং আশা করি যদি এটা ডিজিটাল বা কোনও উপায়েও হয়, আমি সহযোগিতা করব, ”
২০১৯ সালে পুলওয়ামার সন্ত্রাসী হামলার পরে অল ইন্ডিয়ান সিনেমা ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করে। মাহিরা ২০১৭ সালে ‘রইস’-এর সঙ্গে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করলেও তাঁর ছবি প্রচারের জন্য ভারতে আসতে তিনি পারেননি। এটি এখনও অবধি তার একমাত্র ভারতীয় মুক্তি।