‘এক মুন্ডা মেরে উমরো দা’ কিংবা ‘কোই জায়ে তো লে আয়ে…’, কিংবা ‘ভরো মাঙ্গ মেরি ভরো’। অক্ষয়, সলমন, সানি বা আমিরের বাহুলগ্না হয়ে নয়ের দশকে বলিউডের পর্দায় ঝড় তুলেছিলেন বম্বশেল মমতা কুলকার্নি। সেই সময় প্রত্যেক পুরুষের স্বপ্নে মমতারই আনাগোনা। কিন্তু হঠাৎই পর্দা থেকে যেমন গায়েব হলেন অভিনেত্রী, তেমনি বাস্তবেই দেশ ছেড়ে উড়ে গেলেন মার্কিন মুলুকে। তবে আজও যদি বলিউডের একডজন হট নায়িকার তালিকা তৈরি করা হয়, তাহলে মমতার নাম যে একেবারে উপরের দিকে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই মমতাই এবার কুম্ভমেলায় এসে সন্ন্যাস নিলেন। গেরুয়া বসন পরে কুম্ভস্নানের মধ্যে দিয়ে অতীত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করলেন মমতা। কেননা, মমতা জানিয়ে ছিলেন, কখনই আমার সিনেমায় আসার ইচ্ছে ছিল না। সিনেমা কখনই আমাকে টানত না। মায়ের চাপেই অভিনয়ে আসতে বাধ্য হই। তাই বলিউড ছাড়া নিয়ে কোনও দুঃখ নেই।
বলিউডের এক সময়ের হট নায়িকার মহাকুম্ভে এসে সন্ন্যাস নেওয়ায় মমতা কুলকার্নির উপর ক্ষেপেছে মহাকুম্ভে অংশ নেওয়া বেশ কিছু সাধু-সন্ন্যাসী। এমনকী, এই ধরনের আচরণকে অনেকেই ভণ্ডামি বা সহজে জনপ্রিয় হওয়ার কায়দাও বলছেন।
এই নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে মমতা জানান, কালীমার স্বপ্ন দেখেছিলাম। তিনিই আমাকে সন্ন্যাসগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই কারণেই মহাকুম্ভে আসা।
মমতা কুলকার্ণি নিজে জানিয়েছেন, “২০০০ সাল থেকে আমি তপস্যা শুরু করেছি। আজ আমার ২৩ বছর পূর্ণ হল। ধ্যান ও তপস্যার মাধ্যমে আমি অনেক কিছু অর্জন করেছি, বহু প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “অনেকে হয়তো হতাশ, কারণ তারা আশা করেছিলেন আমি বলিউডে ফিরে আসব। কিন্তু মহাকাল ও মহাকালীর ইচ্ছার বাইরে কিছু হয় না, তাঁদের আদেশেই আমি এই নতুন পথ বেছে নিয়েছি।”
মহাকুম্ভে আজ যখন উপচে পড়া ভিড়, পুণ্যার্থীরা পুণ্যলাভের আশায় এসে হাজির, তখন মমতা কুলকার্ণি তাঁদের মধ্যেই এক নতুন পরিচয়ে হাজির। ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী হিসেবে তিনি কুম্ভমেলায় এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন, যা তার ভক্ত ও অনুসারীদের কাছে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে এসেছে। উল্লেখ্য, মাদক পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল নায়িকার। তবে সম্প্রতি মুম্বই হাইকোর্টে রায় দেওয়া হয়েছে। রায়তে নায়িকা বেকসুর খালাস পেয়েছেন।