টলিগঞ্জ সিনেমা পাড়ায় এত বড় দুর্নীতি? এবার সরাসরি পুলিশ ডাকতে চলেছেন পরিচালক-প্রযোজকরা!

মুক্তির প্রথম দিনেই, সেই ছবির রেটিং বুক মাই শো-তে ম্যানুপুলেট করে কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কিছু দর্শক বুক মাই শো-তে ছবিটাকে দশে এক দিয়েছিলেন। যাতে সামগ্রিকভাবে এই ছবির রেটিং হয়েছিল ৪.৯। কোনও এজেন্সির মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে কি এমন করা হয়েছে? এবার উত্তর খুঁজতে চায় টলিপাড়া।

টলিগঞ্জ সিনেমা পাড়ায় এত বড় দুর্নীতি? এবার সরাসরি পুলিশ ডাকতে চলেছেন পরিচালক-প্রযোজকরা!

| Edited By: আকাশ মিশ্র

Dec 30, 2025 | 8:11 PM

বছর শেষে টলিপাড়ায় প্রযোজকদের তরফে রেটিং ম্যানুপুলেশনের অভিযোগ উঠল। মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। মুক্তির প্রথম দিনেই, সেই ছবির রেটিং বুক মাই শো-তে ম্যানুপুলেট করে কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কিছু দর্শক বুক মাই শো-তে ছবিটাকে দশে এক দিয়েছিলেন। যাতে সামগ্রিকভাবে এই ছবির রেটিং হয়েছিল ৪.৯। কোনও এজেন্সির মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে কি এমন করা হয়েছে? এবার উত্তর খুঁজতে চায় টলিপাড়া।

কেন করা হয় এই রেটিং ম্যানুপুলেশন?

ধরা যাক, তিনটে ছবি মুক্তি পেয়েছে বড়দিনে। যার মধ্যে ‘প্রজাপতি টু’-র রেটিং ৯.১। ‘মিতিন একটি খুনির সন্ধানে’ ছবির রেটিং ৮.২। এই অবস্থায় অন্য ছবিটির রেটিং ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কমিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে বুক মাই শো-তে রেটিং দেখে যাঁরা ঠিক করবেন, কোন ছবিটা দেখবেন, তাঁরা কম রেটিংয়ের ছবিটাকে বাদ দেবেন। মূলত এই রেটিংকে ছবির প্রচারের কাজেই ব্যবহার করা হয়। তাই এখানে একপক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, এমন মনে হতে পারে।

TV9 বাংলার তরফে প্রযোজক রাণা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বিষয়টি খোলসা করে বলেন, “এমন হতে পারে, কেউ ইচ্ছা করে এমন করাচ্ছে। আবার এমনও হতে পারে, কেউই এমন করাচ্ছে না। ঠিক কী হচ্ছে, সেটা জানার জন্যই তদন্তের প্রয়োজন। কোনও এজেন্সি এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত কিনা, সেটাই জানা দরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ধরনের ক্রাইম হয়। বাংলা ছবির সঙ্গে এমন কোনও অন্তর্ঘাত হচ্ছে কিনা, সেটা জানা দরকার। তাই আমরা সকলে মিলেই লালবাজারে পুলিশ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হব।”

তাঁর সন্দেহের তালিকায় কোনও নাম রয়েছে? দেবের অনুরাগী বা দেবের নাম রয়েছে? রাণার উত্তর, “দেবের সঙ্গে আমাদের সকলের যা সম্পর্ক, তাতে তিনি এমন করতে পারেন বলে মনে হয় না। এমন হতে পারে, কোনও তৃতীয় পক্ষ এমন ষড়যন্ত্র করছেন, যাতে দেবের দিকে আঙুল ওঠে। রাজনৈতিক কারণে দেবের অনেক বিরোধী রয়েছে। এটা কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।” এ প্রসঙ্গে দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

রেটিং ম্যানুপুলেশনের ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে কয়েকটি পোস্ট করেছিলেন রাণা সরকার। সেই প্রসঙ্গে দেবের বক্তব্য, “কে সোশ্যাল মিডিয়াতে কী লিখলেন, তার কোনও উত্তর আমি দেব না। কেউ ‘প্রজাপতি টু’ ছবিটা সম্পর্কে আগ্রহী হলে, এখন শুধু সেটা নিয়ে কথা বলতে পারি”। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেবের এই মন্তব্য এখন ভাইরাল।

তবে দেবের অনুরাগীরা অনেক সময় টলিপাড়ার অন্য ছবিকে আক্রমণ করেন। ‘রঘু ডাকাত’-এর সময়ে এমন অভিযোগ উঠলে, দেব একটা সাক্ষাত্‍কারে সটান জানিয়ে দেন, তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রচুর। তাঁরা কে কী করছেন, সেটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। শুধু রেটিং ম্যানুপুলেশন নয়, নিজেরাই ছবির টিকিট কেটে ব্যবসার অঙ্ক বেশি দেখানো, ছবির ব্যবসার ফেক কালেকশন ভাসিয়ে দেওয়া, কিছু দর্শককে টিকিট এবং খাবার দিয়ে সিনেমা হলে এনে হাউজফুল দেখানো, যাঁদের ছবি দেখার কোনও আগ্রহই নেই, জুনিয়র আর্টিস্ট দিয়ে সিনেমা হল ভরানো, এমন অনেক কিছু চলে বাংলায়, এমনটাও শোনা যায়। এবার দেখার, তদন্তে আদৌ কি কিছু উঠে আসে।