একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন অভিনেতা সলমন খান। আরও আঁটোসাটো হয়েছে তাঁর নিরাপত্তা। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং রীতিমতো পিছনে পড়ে গিয়েছে অভিনেতার। দুশ্চিন্তায় ভাইজান এবং তাঁর খান পরিবার। অভিনেতার এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন গায়ক মিকা সিং। এক অনুষ্ঠানে এসে রীতিমতো লরেন্সকে একহাত নিলেন গায়ক। মিকা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভাইজানের কেউ কিচ্ছুটি করতে পারবে না। ভাইজানের দিকে তাকালে বিষ্ণোই গ্যাংকে এক হাত নেবেন মিকা নিজেই। ভরা মঞ্চে এমনটাই হুমকি মিকার। তবে এই পরিস্থিতিতে সলমনের হয়ে এখনও পর্যন্ত মিকা ছাড়া আর কাউকে কিছু বলতে শোনা যায়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ঘটেছিল ঘটনাটা। ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং করতে গিয়েই বিতর্কে জড়ান নায়ক। শুটিংয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে নায়কের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় ভাইজান। প্রসঙ্গত, সলমনের খান যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পরবর্তী নিশানা এ কথা এত দিনে সকলেই জেনে ফেলেছেন। গত কয়েকদিনে তাই খবরের শিরোনামে বারবার ফিরে আসছে ভাইজানের নাম। কখনও বিষয় তাঁর নিরাপত্তা, কখনও আবার বিষ্ণোইদের গতিবিধি।
কয়েকদিন আগেই মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়, সলমনকে খুন করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। চার্জশিটে উঠে আসে সেই পাঁচ জনের নাম। তাঁরা বিষ্ণোই গ্যাংয়র সদস্য সে কথাও জানানো হয়েছে মুম্বই পুলিশের তরফে। যে দল চলে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বে। পাকিস্তান থেকে ভয়ঙ্কর সব অস্ত্র যেমন AK 47, AK 92, এবং M 16 কেনার পরিকল্পনা চলছিল বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এই বন্দুক দিয়েই খুন করা হয়েছিল পঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে। ১৮ বছরের কম একটি কিশোরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাকেই নাকি সুপারি দেওয়া হয় সলমনকে খুন করার জন্য। পুলিশ সূত্রে খবর, এরা সবাই লুকিয়ে রয়েছে পুনে, রায়গড়, নভি মুম্বই, থানে, গুজরাতের বিভিন্ন এলাকায়। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন মিলে সলমনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করছে। তাঁর বান্দ্রার বাড়ি থেকে পানভেলের খামারবাড়ি সর্বত্র নজরদারি রাখছে এই দল।