শরীর অনেকটাই ভেঙে গিয়েছে। মাথায় জড়ানো স্কার্ফ। শরীরের উপর দিয়ে অনেকটা যে ধকল গিয়েছে তা তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট। এত কিছুর পরেও মুখের হাসি ম্লান হয়ে যায়নি। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তীর। তবে টলিউডের অন্দরে তাঁর আরও দুটি পরিচয় রয়েছে। তিনি হলেন সব্যসাচী চক্রবর্তীর স্ত্রী। আবার গৌরব চক্রবর্তী এবং অর্জুন চক্রবর্তীর মা। বছরের মাঝেই এসেছিল খবরটা। এপ্রিলের শেষের দিকেই জানা যায় যে অভিনেত্রী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত।
যে কারণে, সিরিয়াল থেকে বিরতি নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেন মিঠু। অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসার পর আর সে ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। কোনও ছবিও দেখা যায়নি তাঁর। দীপাবলিতে অনেক দিন পর গোটা পরিবারের সঙ্গে হাসিমুখে ফ্রেমবন্দি মিঠু। পুত্র, পুত্রবধূ,স্বামী, বেয়াই, নাতিকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দেখা যায় তাঁকে। বহু দিন পরে তাঁকে দেখে খুশি অনুরাগীরাও। তাঁর মোট ৬টা কেমোথেরাপি হওয়ার কথা ছিল। ক্যানসারের চিকিত্সা যে তাঁর শরীরের উপরে অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে তাঁর ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আগে TV9 বাংলাকে সব্যসাচী বলেছিলেন, “মিঠুর পাঁচটা কেমো থেরাপির সেশন হয়েছে। আজ সোমবার (১০.০৬.২০২৪) ৬ নম্বর কেমো সেশনটা আছে। এর জন্য মিঠু খুবই অস্বস্তি অনুভব করছে।” সত্যিই, ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে এটা সবসময়ই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কেমো চলাকালীন তাঁদের ভীষণই শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। মন-মানসিকতা খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। এই কঠিন সময় সেই রোগী কাছের মানুষের হাতটা ধরে রাখতে চান শক্ত করে। মিঠুর সেই হাতটা এখন চেপে ধরে আছেন তাঁর এতদিনের সঙ্গী, তাঁর স্বামী সব্যসাচী। বলেছেন, “মিঠুর স্তনে ক্যানসার হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ত্রোপচার হয়েছে। কেমো থেরাপি শুরু হয়েছে মার্চ মাস থেকে। রেডিয়ো থেরাপি শুরু হবে কেমো থেরাপি শেষ হলে।” তিনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন এটাই শুধু প্রার্থনা সবার।