এই নায়িকার নাম শুনেই ছবি ছাড়লেন মিঠুন, আর সেই হিরোইনকেই খুশি করতে বাড়ি বয়ে গিয়ে অনিল কাপুর যা করলেন তা অভাবনীয়!
গল্পটা বিশদে বলা যাক। মিঠুন চক্রবর্তী তখন বলিউডে শক্ত মাটি খুঁজছেন। তখনও স্টার হওয়া হয়নি তাঁর। ঠিক এই সময়ই পদ্মিণীর সঙ্গে জুটি বেঁধে উহ সাত দিন ছবির অফার পান মিঠুন। কিন্তু নায়িকা প্রধান সিনেমায় মিঠুন ছবি করতে চাননি।

সময়টা আটের দশক। মুক্তি পেল অনিল কাপুর ও পদ্মিণী কোলাপুরি অভিনীত ছবি ‘উহ সাত দিন’। তখন পদ্মিণী কোলাপুরি বক্স অফিসের লক্ষ্মী। পদ্মিণীর সৌন্দর্য আর অভিনয়ের ধার রাতারাতি তাঁকে বলিউডের প্রিয় করে তুলেছিল। শোনা যায়, সেই কারণে নাকি পদ্মিণীর একটু অহংকারও ছিল। আর অন্যদিকে অনিল কাপুর তখন একেবারেই নতুন। ভালো ব্রেক পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ঠিক তখনই হঠাৎ পদ্মিণীর সঙ্গে জুটি বেঁধে উহ সাত দিন ছবির সুযোগ এল। কিন্তু জানেন কি এই পদ্মিণীর বিপরীতে নায়ক হওয়ার জন্য কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল অনিলকে? শুধু কি তাই প্রথমে কিন্তু অনিল নয়, উহ সাত দিন ছবির হিরো ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী!
গল্পটা বিশদে বলা যাক। মিঠুন চক্রবর্তী তখন বলিউডে শক্ত মাটি খুঁজছেন। তখনও স্টার হওয়া হয়নি তাঁর। ঠিক এই সময়ই পদ্মিণীর সঙ্গে জুটি বেঁধে উহ সাত দিন ছবির অফার পান মিঠুন। কিন্তু নায়িকা প্রধান সিনেমায় মিঠুন ছবি করতে চাননি। সেই কারণেই চিত্রনাট্য শুনেও ছবির অফার ফিরিয়ে দেন। সেই সময় বলিউডের গসিপ ম্যাগাজিনগুলোতে এসেছিল মিঠুন ছেড়ে দেওয়ার পর নাকি এই ছবি ছেড়ে দিয়েছিলেন পদ্মিণীও। গোটা ঘটনাই কানে আসে অনিলের। তখনই ফন্দি আঁটেন অনিল। তার উপর এই ছবির প্রযোজক ছিলেন অনিলের দাদা বনি কাপুর।
অনিলের তখন একটাই লক্ষ্য। যেকোনও ভাবে রাজি করাতে হবে পদ্মিণীকে। পদ্মিণী রাজি হলেই ছবিটা তৈরি হবে। গুঞ্জনে আসে, শুধুমাত্র পদ্মিণীকে রাজি করতেই নাকি টানা একমাস নায়িকার বাড়ি খাবার নিয়ে হাজির হতেন অনিল। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সবই নিজে হাতে পদ্মিণীর বাড়ি নিয়ে যেতেন। অনিলের এমন কাণ্ডে শেষমেশ, ছবি করতে রাজি হলেন পদ্মিণী। আর উহ সাত দিন ছবি থেকেই বলিউডে দারুণ ব্রেক পেলেন অনিল কাপুর।





