তাঁর সব রঙ যেন ফিকে হয়ে গিয়েছে তাঁর। সাদা শাড়িতে সকলের সামনে এলেন মুনমুন সেন। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে ছিলেন তিনি। মাঝেই আসে সেই দুঃসংবাদ। জানতে পারেন স্বামী ভরত দেববর্মা আর নেই। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বড় মেয়ে রাইমা সেনও। বাবার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট মেয়ে রিয়া। বিকেল ৪ টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তাঁরা। তখন বাবার মরদেহ আগলে বসে আছেন রিয়া। সকালে এই দুঃসংবাদ পেয়েই অভিনেত্রীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধে ৬টা নাগাদ বাড়ির বাইরে আসেন মুনমুন এবং রাইমা। অভিনেত্রী বললেন, “বাবাকে অন্য ভাবে দেখে রিয়া ভেঙে পড়েছিল। খবর পেয়েই আমি চলে আসি তাড়াহুড়ো করে। আমাদের জীবনটা এখন থেকে বদলে গেল। যে আমাদের চালাতেন তিনিই চলে গেলেন।” রাইমার কথায়, “শেষ সময় পাশে থাকতে পারলাম না। বাবাকে খুব মিস করব।”
উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর স্বামীর প্রয়াণের খব পেয়ে তারকারা ভিড় জমাতে শুরু করেন তাঁদের বালিগঞ্জের বাড়িতে। প্রথমেই দেখা গিয়েছিল আবীর চট্টোপাধ্যায়, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্য়ায়দের। তার পর আসেন ঊষা উত্থুপ, তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তরা। সবাই অপেক্ষা করছিলেন মুনমুনের জন্য। সন্ধে ৬টা নাগাদ অভিনেত্রীর বাড়িতে আবার এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “মুনমুন রাইমা বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। কলকাতায় এখন রিয়া, পরিবারের আরও অনেকেই রয়েছেন। মুনমুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও ফিরলেন ওকে দ্রুত আনার ব্যবস্থা করব। ও জানত না। ভরত আমাদের খুব ভালবাসত। ভীষণ ভাল মানুষ ছিলেন। এটা খুব বড় একটা ক্ষতি। ওরা বলছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আমার একজন শুভাকাঙ্খীকে হারালাম। আত্মীয়কে হারালাম। আমি এখানে স্থানীয় বিধায়ককে রেখে গেলাম। পাশাপাশি দেবাশিষ কুমার, মালা রায়কেও জানিয়েছি। পুলিশকেও বলে রেখেছি। ওরা ফিরলে গ্রিন করিডোর করে আনা হবে। বাকি সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। মুনমুন আসলে একবার ফোনে কথা বলব। এখন শোক প্রকাশ ছাড়া, শেষকৃত্য ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে।”