Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নিজের মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী মৌসুমীই? আঙুল তোলেন খোদ জামাই

Moushumi Chatterjee: ছোট বয়সে বিয়ে হলেও শ্বশুরবাড়ি বরাবরই ভাল ছিল তাঁর। একবার এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী বলেছিলেন, "১৮ বছর বয়সে, আমার কোলের আমার মেয়ে আসে। সে সময় নিজের টাকাতে এক মার্সেডিজও কিনতে সক্ষম হয়েছিলাম আমি। যেদিন আমার ডেলিভারি হয়, হাসপাতালে যেতেই আমায় ডাক্তার বলে, এই প্রথমবার দেখলাম কোনও বেবির বেবি হচ্ছে।"

নিজের মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী মৌসুমীই? আঙুল তোলেন খোদ জামাই
আঙুল তোলেন খোদ জামাই
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2024 | 5:27 PM

মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়– ৭০ দশকের এই জনপ্রিয় নায়িকা শুধু বাঙালির নয়, গোটা ভারতের গর্ব। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিয়ে হয়েছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছেলে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ে সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। পাশাপাশি বাড়ি ছিল তাঁদের। মৌসুমীর পিসি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর খুব ইচ্ছে ছিল ভাইঝির বিয়েটা দেখে যাবেন। আর সেই ইচ্ছেকে সম্মান জানাতেই ওই একরত্তি বয়সে খানিকটা মৌসুমীর অমতেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কেরিয়ার তখনও শুরু হয়নি সেইভাবে। ১৮ বছর বয়সেই মা হন মৌসুমী। কোল আলো করে আসে তাঁর প্রথম সন্তান পায়েল মুখোপাধ্যায়। খুব কম বয়সে সেই মেয়ে যখন মারা যান তখন পক্ষান্ততে জামাই আঙুল তুলেছিলেন শাশুড়ি মায়ের দিকে। কী এমন ঘটেছিল? জেনে নিন, ‘বালিকা বধূ’র জীবনের সেই অজানা কাহিনী।

ছোট বয়সে বিয়ে হলেও শ্বশুরবাড়ি বরাবরই ভাল ছিল তাঁর। একবার এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী বলেছিলেন, “১৮ বছর বয়সে, আমার কোলের আমার মেয়ে আসে। সে সময় নিজের টাকাতে এক মার্সেডিজও কিনতে সক্ষম হয়েছিলাম আমি। যেদিন আমার ডেলিভারি হয়, হাসপাতালে যেতেই আমায় ডাক্তার বলে, এই প্রথমবার দেখলাম কোনও বেবির বেবি হচ্ছে। আমাকে অনেকেই সে সময় বলেছিলেন, এখনই কেরিয়ার শুরু হচ্ছে, সন্তান নিও না। আমিও ভেবেছিলাম সংসার করব। কিন্তু একের পর এক ছবির অফার আসতে থাকে।” অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে জিতেন্দ্র, ফারুক শেখ, সঞ্জীব কুমার– এঁদের সকলের সঙ্গে কাজ করে বহু হিট দিতে শুরু করেন মৌসুমী।

নিজের মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী মৌসুমীই?

কিন্তু ওই যে চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। ২০১৯ সালে বড় মেয়েকে হারান তিনি। সন্তানকে হারানোর থেকে বড় যন্ত্রণা আর কী হতে পারে মা-বাবার কাছে? ছোট থেকেই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন তাঁর বড় মেয়ে। ব্যবসায়ী ডিকি সিনহাকে বিয়ে করেছিলেন মৌসুমীর মেয়ে। ২০১৮ সালে কোমায় চলে যান মৌসুমীর মেয়ে। ২০১৯ সালে মারা যান তিনি। মেয়ে জীবিত থাকা অবস্থাতেই জামাইয়ের সঙ্গে আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন মৌসুমী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, জামাই ও তাঁর পরিবার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না। এও অভিযোগ করা হয়, মেয়ের মেডিকেল বিলও দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের তরফে। এমনকি হচ্ছে না ঠিকমতো চিকিৎসা। যদিও মেয়ে মারা যাওয়ার পর মৌসুমীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন জামাই ডিকি। জানিয়েছিলেন মেয়ের শেষ কাজে আসেননি মৌসুমী। কিন্তু কেন? ডিকি জানিয়েছিলেন, যে মামলা তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল তা তিনি জিতে যান। তনি এও বলেন, মৌসুমি দু’মাসে মাত্র পাঁচ বার পাঁচ মিনিটের জন্য মেয়েকে দেখতে এসেছেন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগও করেন ডিকি। বলেন, একবার নাকি মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের ছোট মেয়ে মেঘা জোর করে পায়েলকে প্রসাদ খাওয়াতে গিয়েছিলেন। সে সময় দম আটকে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁর। মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগও অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিতর্ক ফিকে হয়ে গিয়েছে। মেয়েকে হারিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মৌসুমী। নিজের মতো করে নিজের জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন।