Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমার বাবাকে বাঁচাবে,’ ছোট্ট তিতলির কাতর আর্তিতে সাড়া দিলেন দেব

চুঁচুড়া নারী শিক্ষা মন্দিরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর কাতর আর্তি, "আমার বাবাকে একটু বাঁচাবে। আমার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই।'' সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়োটি চোখে পড়ে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবের (Dev)।

'আমার বাবাকে বাঁচাবে,' ছোট্ট তিতলির কাতর আর্তিতে সাড়া দিলেন দেব
অসুস্থ বাবার চিকিৎসার জন্য আবেদন ছোট্ট তিতলির
Follow Us:
| Updated on: May 16, 2021 | 10:16 PM

হুগলি: বাবা বিছানায় শয্যাশায়ী। তাঁর ওষুধ-পথ্য জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। এই অবস্থায় সন্দীপ দত্তের চিকিৎসার জন্য নেটমাধ্যমের সাহায্য নেয় ছোট্ট মেয়ে তিতলি। চুঁচুড়া নারী শিক্ষা মন্দিরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর কাতর আর্তি, “আমার বাবাকে একটু বাঁচাবে। আমার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়োটি চোখে পড়ে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবের (Dev)। সঙ্গে সঙ্গে সাংসদের আশ্বাস তিনি পাশে আছেন। তাঁর টিম দেখছে।

গত তিন বছর ধরে অসুস্থ চুঁচুড়ার অন্তার বাগান এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ দত্ত। জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁর প্যানক্রিয়াসের সমস্যা ধরা পড়েছিল। তারপর হাই-সুগার থাকায় কিডনি আর লিভারেও প্রভাব পড়ে। বেঙ্গালুরুতে গিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্যানক্রিয়াস অপারেশন করাতে প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে সেখান থেকে ফিরে আসেন সন্দীপবাবু। সল্টলেকে একটি গাড়ি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। অসুস্থতার কারণে সেই কাজও চলে যায়।

কয়েকজন পরিচিতের সাহায্যে গত মার্চ মাসে হায়দরাবাদে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। অপারেশন করালেও সুস্থ হয়ে ওঠার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। সেখান থেকেও ফিরে আসেন। এর পর কলকাতার শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি হন। হাই সুগার থাকায় কোমরের নীচে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। এখন বাড়িতে কার্যত বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছেন সন্দীপবাবু। এদিকে সংসার চলে না। তার উপর ওষুধ কেনা দুষ্কর হয়ে তিতলির মা মুনমুন দেবীর কাছে। তাই তিতলির এই আবেদনের পর কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছেন সাহায্যের হাত নিয়ে।

এবার ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেবও দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস। টুইট করে তিনি ওই পরিবারকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন।

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠনের তরফেও এসেছে সাহায্যের আশ্বাস। ছোট্ট তিতলির বাবা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন চাইছেন সবাই।

আরও পড়ুন: বেতনের অর্থে করোনা আক্রান্তদের জন্য ওষুধ-খাবার নিয়ে দুয়ারে শিক্ষক