
মহেশ বাবু ও নম্রতা শিরোদকরের প্রেমের গল্প বেশ চর্চিত। এমনকী বিয়ের জন্য নম্রতা তার সফল অভিনয়-জীবন ছেড়ে দেন মহেশের অনুরোধে। কিন্তু কেন এমন করতে হয়েছিল তাঁকে? নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে নম্রতা শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন। কিন্তু মহেশ বাবুকে বিয়ে করার পর তিনি সিনেমা ছেড়ে দেন এবং পরিবারের দিকে মনোনিবেশ করেন। তাঁর সফল কেরিয়ার থাকা সত্ত্বেও, তিনি আর কখনও অভিনয়ে ফিরে যাননি। কারণ মহেশ চাননি তার স্ত্রী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করুন।
এক সাক্ষাৎকারে নম্রতা বলেছিলেন, বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে। তিনি জানান, মহেশ স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, তিনি একজন স্ত্রী চান, যিনি বাইরে কাজ করবেন না। এমনকী যদি নম্রতা কোনও অফিসের চাকরিও করতেন, তা হলেও মহেশ তাঁকে সেটি ছেড়ে দিতে বলতেন। এটা ছিল তাঁদের নিজেদের মধ্যে একটি বোঝাপড়া। মুম্বইয়ের মেয়ে নম্রতা সবসময় অ্যাপার্টমেন্টে থেকেছেন। তাই বিয়ের পর হায়দরাবাদে এসে বিশাল বাংলোতে থাকা তাঁর জন্য অস্বস্তিকর ছিল। তিনি মহেশকে অনুরোধ করেন, যেন তারা অ্যাপার্টমেন্টেই থাকেন। মহেশ তাঁর শর্ত মেনে নেন এবং তাঁরা অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস শুরু করেন।
মহেশ বাবু ও নম্রতা শিরোদকর প্রথম পরিচিত হন তাঁদের তেলুগু ছবি ‘ভামসি’-র শুটিংয়ে। সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার আগেই তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। নম্রতার কাজ ছাড়া নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। তিনি এটাকে আপোস হিসাবে দেখেননি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে লিখেছেন, বিয়ের পর মেয়েদের কাজ ছাড়তে হবে, এমন একটা বোঝাপড়ার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি প্রোগ্রেসিভ নয়।