ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে প্রেম টেঁকেনি। জীবনে একটা দীর্ঘ সময় একা হাতেই মেয়ে মাসাবাকে বড় করেছিলেন নীনা গুপ্তা। পদে পদে তাড়া করে বেড়াত কর্মক্ষেত্রে অসম্মানিত হওয়ার এক অজানা আশঙ্কা। পার্টনার কে পাশে পাননি। নীনার কথায় তাঁর বাবাই ছিলেন তাঁর বয়ফেন্ড।
একাকীত্বর সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যুদ্ধ করতে হয়েছে তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, “সারাজীবন ধরেই এটা চলেছে। একটা লম্বা সময় জীবনে পুরুষ ছিল না। স্বামী নেই। পার্টনার? সেও নেই। বাবাই আমার বয়ফ্রেন্ড ছিলেন। তিনিই ছিলেন বাড়ির কর্তা।” কিন্তু একাকীত্বকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকেননি তিনি। সে জন্য ভগবানের কাছে তিনি ঋণী। তাঁর কথায়, “ঈশ্বর আমায় মুভঅন করার শক্তি জুগিয়েছে প্রতি পদে। তাই অতীতের সঙ্গে যুদ্ধে জিতেছি।”
জীবনের সেই পর্ব কাটিয়ে উঠে আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত। তাঁর মেয়ে মাসাবাও জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। ২০০৮ সালে বিবেক মেহরার সঙ্গে বিয়ে হয় নীনার। জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেন নীনা।
আরও পড়ুন- লকডাউনে প্রথমবার বিবেকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকেছি: নীনা গুপ্তা
লন্ডন থেকে মুম্বইয়ের বিমানে বিবেকের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় নীনার। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব এবং প্রেম। ২০০৮-এ বিয়ে করেন তাঁরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেকের সম্পর্কে মুখ খুলেছেন নীনা। নীনা বলেন, “আমার স্বামী বিবেক দিল্লিতে থাকে, আমি থাকি মুম্বইয়ে। গত বছর লকডাউনে প্রথমবার আমরা একসঙ্গে থেকেছি। স্বামী-স্ত্রীর মতো। জীবনে এই প্রথম ওকে জানার সুযোগ পেলাম আমি। বিবেকও আমাকে জানতে পেরেছে।”
নীনা আরও জানান, কর্মসূত্রে তাঁরা দু’জনেই ব্যস্ত থাকতেন। ফলে একসঙ্গে থাকা হত না। তবে নিজের ভাল থাকার জন্য কখনও বিবেকের উপর নির্ভর করেননি তিনি। “বিবেক ব্যস্ত থাকলে আগে আমি বন্ধবীদের ফোন করতাম, ওদের সঙ্গে কথা বলতাম, সময় কাটাতাম। কিন্তু লকডাউন আমাকে অনেকটা বদলে দিয়েছে”, শেয়ার করেছেন তিনি।