
দেবদাস ভালোবাসত তার পারোকে। কিন্তু পারোর বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র। শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বহু চর্চিত এই গল্প নিয়ে বাংলার পরিচালকদের মতোই ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী। ছবির শেষ দৃশ্যে ধুতি-পাঞ্জাবিতে অসুস্থ শাহরুখ প্রায় লুটিয়ে পড়েন পারোর শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে। খবর পেয়ে ছুটতে শুরু করে দেন পারো। ছবিতে পারো চরিত্রে ঐশ্বর্য লাল পাড় সাদা শাড়িতে তাঁর দেবদাসের জন্য ছুটে আসছেন যে দৃশ্যে, সেটা বলিউডের ছবির অন্যতম জনপ্রিয় দৃশ্য।
ঐশ্বর্য যখন ছুটতে শুরু করেন, তখন তাঁর আঁচলটা অনেক লম্বা ছিল। এটা পরিচালকের সিদ্ধান্ত ছিল। লম্বা আঁচল এই দৃশ্যে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছিল। জানেন কি, ঠিক কতটা লম্বা ছিল এই শাড়ির আঁচল? ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের পারো লুক পরবর্তীকালে অনেকেই নতুন করে তৈরি করেছেন। তবে অনেকের কাছেই এই তথ্য নেই।
শাড়িটি তৈরি করেছিলেন বলিউডের নামী কস্টিউম ডিজাইনার নীতা লুল্লা। নীতা জানিয়েছেন, শুটিংয়ের আগের দিন রাতে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী মত বদল করেন। সেই কারণে তখন এই কস্টিউম তৈরি করতে হয় রাতারাতি। যে শাড়ি তৈরি হয়, সেটা ১৩ ফুট লম্বা ছিল। ১৩ ফুটের লম্বা শাড়ি পরে শট দেওয়ার কাজটাও সহজ ছিল না।
তবে শেষ মুহূর্তে সব কিছুর আয়োজন করা হলেও, পুরো টিমের কাজ যে আসাধারণ ছিল, তা নিয়ে সংশয় নেই। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন অভিনীত এই দৃশ্যটি ২০২৫-এও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। তাই সেই দৃশ্যের কস্টিউম নিয়ে আজও আলোচনা চলছে।