ভয়াবহ মৃত্যু-স্মৃতির যন্ত্রণা! নয়া সাইকো থ্রিলারে এবার মধুমিতা-সাহেব-রাহুলের চমক

এ এক নারীর মানসিক লড়াইয়ের গল্প, যে তাঁর নিখোঁজ বোনকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় মরিয়া। সেই খোঁজ তাকে টেনে নিয়ে যায় এক নিষিদ্ধ, অভিশপ্ত জঙ্গলে—যেখানে অতীতের ট্রমা তাকে গ্রাস করে এবং বাস্তবতা ও বিভ্রমের ভয়াবহ সীমারেখা ক্রমশ যেন ঝাপসা হয়ে যায়।

ভয়াবহ মৃত্যু-স্মৃতির যন্ত্রণা! নয়া সাইকো থ্রিলারে এবার মধুমিতা-সাহেব-রাহুলের চমক

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Dec 12, 2025 | 7:30 AM

বাংলা সিনেজগতে সাইকোথ্রিলার বরাবরই এক বিশেষ জায়গা করে রেখেছে। দর্শকদের বেশ পছন্দের জ্যঁর বললে ভুল হবে না। এবার তেমনই এক গল্প দর্শকদের পাতে উপহার দিতে চলেছেন পরিচালক সৌমাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম- “অটবী”। দুই বোনের গল্প, অতীতের ভয়াবহ স্মৃতির যন্ত্রণা বয়ে বেরানোর গল্প, সম্পর্কের গল্প, জীবনে প্রতি মুহূর্তে যে অনিশ্চয়তা ঘিরে থাকে, তা মানুষকে কখন কোন পরিস্থিতিতে পৌঁছে দেয়, সেই গল্পই বলবে “অটবী”।

এ এক নারীর মানসিক লড়াইয়ের গল্প, যে তাঁর নিখোঁজ বোনকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় মরিয়া। সেই খোঁজ তাকে টেনে নিয়ে যায় এক নিষিদ্ধ, অভিশপ্ত জঙ্গলে—যেখানে অতীতের ট্রমা তাকে গ্রাস করে এবং বাস্তবতা ও বিভ্রমের ভয়াবহ সীমারেখা ক্রমশ যেন ঝাপসা হয়ে যায়। ছবিতে অভিনয় করছেন, মধুমিতা সরকার, ইনায়া চৌধুরী, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, আরিয়ান ভৌমিক সহ আরও অনেকে।

ছবির পরিচালক সৌমাভর কথায়, “অটবী নিছকই এক নিখোঁজ মানুষকে খোঁজার গল্প নয়; এটি মানুষের মনের এক গভীর গোলকধাঁধায় নেমে যাওয়ার গল্প, যেখানে ভালবাসা কখনও কখনও দমবন্ধ করা হতে পারে এবং নিরাপত্তা পরিণত হতে পারে বন্দিদশায়। চিত্রনাট্যটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে দর্শকের বাস্তবতার ধারণাটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ডিম্পল যখন ওষুধ ছাড়াই “নো এন্ট্রি” জোনের গভীরে প্রবেশ করে, তখন সিনেমাটি একটি সাধারণ তদন্ত থেকে পরাবাস্তব দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় ।”

সিদ্ধি বিনায়ক ক্রিয়েশনস প্রযোজিত এই ছবি আর পাঁচটা থ্রিলারের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। প্রযোজনার দৃষ্টিকোণ থেকে, “অটবী”-র শক্তি তার সংযত কিন্তু বিস্তৃত সেটিং-এ নিহিত। “চামসুত্তি” জঙ্গল শুধু একটি প্রেক্ষাপটই নয়; এটি নিজেই এক চরিত্র—একটি “নো এন্ট্রি” জোন যা প্রতিফলিত করে নায়িকার ভেঙে পড়া মানসিক অবস্থাকে। এই সেটিং আমাদের এমন একটি দৃষ্টিনন্দন চলচ্চিত্র নির্মাণের সুযোগ দেয় যেখানে ভয়ের উৎস কেবল জাম্পস্কেয়ার নয়, বরং গভীর অরণ্যের ক্লাস্ট্রোফোবিয়া এবং মানুষের মনের গোলকধাঁধা।